স্বদেশ ডেস্ক:
নির্বাচন ঘিরে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে চলচ্চিত্রের আঁতুড় ঘর এফডিসিতে। এবার নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের বিপরীতে লড়ছে মিশা সওদাগর-জায়েদ খানের প্যানেল। এরই মধ্যে মিশা-জায়েদ জয়ী হলে কী করবেন তার ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ক’দিন আগে। এবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ তাদের ইশতেহার ঘোষণা করলেন।
আজ মগবাজারস্থ একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত পরিষদের পরিচিত পর্বে সংবাদকর্মীদের সামনে ২২ দফা ইশতেহার তুলে ধরেন প্যানেলে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। বেলা ১টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পদপ্রার্থী ২১ জনের মধ্যে উপস্থিত হলেন শুধু সাংগঠনিক পদের পাঁচজন ও দুইজন কার্যকরী সদস্য। ছিলেন সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন, সহ-সভাপতি রিয়াজ, ডি এ তায়েব, কোষাধ্যক্ষ আজাদ, কার্যকরী পদের ফেরদৌস, কেয়া ও সিমান্ত।
বিষয়টি নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আর একদিন বাদেই আমাদের নির্বাচন। তাই আমরা কাজ ভাগ করে করছি। অনেকেই উপস্থিত হননি।’
এদিকে, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’খ্যাত এই অভিনেতা ২২ দফা ইশতেহার মধ্যে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এফডিসিতে আনা এবং শিল্পীদের প্রোফাইল তৈরিসহ কয়েকটি দিক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমেই চাই বঙ্গবন্ধুর তৈরি বিএফডিসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে। এছাড়াও শিল্পীদের জন্য তৈরি কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবহার, চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এটি নির্মাণে ঋণের ব্যবস্থাও করতে চাই।’
২২টি ইশতেহারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিএফডিসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনা, শিল্পীদের জন্য তৈরি কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবহার, চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এটি নির্মাণে ঋণের ব্যবস্থা, বাতিল ও স্থগিত বা ভোটাধিকার বঞ্চিত শিল্পীদের তা ফিরিয়ে দেওয়া, শিল্পীদের মর্যাদা রক্ষায় কেউ একবার সদস্য হলে আজীবন সদস্য থাকবে, যেকোনো দুর্যোগ শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে সমিতি, সহায়তা গ্রহণকারীদের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ না করা, পার্শ্ববর্তী দেশের শিল্পী সংগঠনের মধ্যে চুক্তি করে দেশের শিল্পীদের কর্মসংস্থান তৈরি করা, ওয়েবসাইট উন্নয়ন, শিল্পীদের প্রফাইল তৈরি করা, বিশেষ করে নৃত্য ও অ্যাকশন শিল্পীদের প্রফাইল তৈরি করে বিশ্বের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতি পাঠানো, সভাপতিকে পদাধিকার সেন্সর বোর্ড বা তথ্য-সম্প্রচার বা সংস্কতি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অধিষ্ঠিত করা।