রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু

স্বদেশ ডেস্ক:

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা নিকটঅতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গত ২২ দিনে ৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সরকারি হিসাবে জানুয়ারি থেকে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৭ হাজার ১৭৯ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হলেও বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হয়নি এমন রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে ওই রোগীর কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তাদের মতে, ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসায় অবস্থান করে থাকেন। রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বর মহামারী রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই শত শত ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। অনেকে প্রাইভেটভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪৭টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এ ছাড়া রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুযায়ী, রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪০৩ জন। গত ১ থেকে ২২ জুলাই (গতকাল সোমবার) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫০ জন।

কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ৭ হাজার ১৭৯ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন, চিকিৎসা শেষে ৫ হাজার ৫০৯ জন বাসায় ফিরেছেন। ১ হাজার ৬৬৫ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৭, ফেব্রুয়ারিতে ১৯, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৮৪ জন, জুনে ১৮১৪ জন এবং জুলাই মাসে ৫ হাজার ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৮০ শতাংশের বেশি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার আক্রান্তদের জটিলতা বেশি হয়। তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি। এ ছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ ও লিভারে সমস্যা রয়েছে, তাদের ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এ ধরনের রোগীদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা যেন বংশবিস্তারের সুযোগ না পায়, সে জন্য প্রত্যেকের নিজের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, ডেঙ্গুর সব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। মৃত্যুর তথ্য গোপন করা হচ্ছে সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হলেও বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্যমতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, এপ্রিলে ২ জন, জুনে ২ ও জুলাইয়ে একজন মারা গেছেন। জানা গেছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ২ জনসহ মোট ৭ জন মারা গেছেন। মৃতের এ পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় নেই।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, চলতি বছরে ঢামেক হাসপাতালে ৯৬৬ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জুনে ১ জন ও জুলাই মাসে ২ জনসহ মোট ৩ জন মারা গেছেন।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শহীদুল হক মল্লিক আমাদের সময়কে বলেন, বারডেম হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা চিকিৎসাসেবা নেন, তাদের তথ্য সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে পাঠানো হয়। আমাদের হাসপাতালে ২ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, আমার হাসপাতালে জুলাই মাসে ২ জুন মারা গেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে এই মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার বেড়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। সামনের দিনগুলোয় এ সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পূর্বাভাস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে এমন ধারণাই পাওয়া যায়। দেখা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ২৮৬ জন, আগস্টে ৩৪৬, সেপ্টেম্বরে ৪৩০, অক্টোবরে ৫১২ এবং নভেম্বরে ৪০৬ জন চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ৯৪৬, আগস্টে ১৭৯৬, সেপ্টেম্বরে ৩০৮৭, অক্টোবরে ২৪০৬ এবং নভেম্বরে ১১৯২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেখানে চলতি বছরের জুলাই মাসের ২২ দিনে ৫০৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অর্থাৎ গেল দুই বছরের (২০১৭ ও ২০১৮ সাল) জুলাই মাসে মোট ১২৮২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

চলতি বছরের জুলাই মাসের মাত্র ২২ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫ হাজার ৫০ জন। বিগত বছরগুলোয় জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বেশি আক্রান্ত হন। একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে চলতি ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিতে পারে। ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে ইতোমধ্যে রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা রীতিমতো আতঙ্কিত। বিশেষ করে যাদের বাসায় ছোট ছোট ছেলেমেয়ে আছে, তাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেশি। মূলত ডেঙ্গু থেকে কীভাবে সুরক্ষা নেবেন, আক্রান্ত হলে কোথায় চিকিৎসা নেবেন তা নিয়েই তাদের আতঙ্ক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড় মগবাজারের বাসিন্দা মিনারা সিদ্দিকী বলেন, ডেঙ্গুজ্বরের ভয়ে বাচ্চাকে নিচে খেলতে যেতে দিচ্ছি না। আশপাশের বাসায় অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বাচ্চাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি। বেডরুমে অ্যারোসল স্প্রে করে সারাদিন দরজা-জানালা বন্ধ রেখে বাচ্চাকে সেখানে আটকে রাখার চেষ্টা করছি। বাসায় নিয়মিত অ্যারোসল স্প্রে ও মশারি ব্যবহার করছি। মেয়ে বিকালে পড়ার সময় যেন পায়ে মশা বসতে না পারে, সে জন্য টেবিলের নিচে গুডনাইট ইলেকট্রিক কয়েল ও স্ট্যান্ডফ্যান দিয়েছি। তার পরও টেনশন যাচ্ছে না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন বাচ্চাকে সুস্থ রাখেন।

ডেঙ্গুর ধরন পাল্টায় মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মাঝে নরমাল যেসব লক্ষণ তা দেখা যাচ্ছে না। এটি মূলত ডেঙ্গুর ধরন পাল্টানোর কারণে হচ্ছে। আগে প্রচণ্ড জ্বর উঠত, এখন দেখা গেছে জ্বর বেশি উঠে না। আগে শরীর ব্যথা হলেও এখন তা দেখা যায় না। এখন র‌্যাশও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে ৪-৫ দিন পর প্লাটিলেট কমত ও রক্তরক্ষণের ঝুঁকি ছিল। এখন ২-৩ দিন পরই প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। প্লাটিলেট কমে গেলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর রক্তরক্ষণ থেকে শক সিনড্রোমে চলে গিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, আগে আক্রান্তরা ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো বুঝতে পারতেন। এখন তেমনভাবে রোগীরা বুঝতে পারে না। যেসব এলাকায় এডিসের ঘনত্ব বেশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপের ফল অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব সূচক (বিআই) সর্বোচ্চ ৮০ পাওয়া গেছে। এ ওয়ার্ডের আওতায় পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, গেন্ডারিয়াসহ আশপাশের এলাকা রয়েছে।

এ এলাকাকে ঢাকা মহানগরীর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। এর পর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে লার্ভার ঘনত্ব সূচক ৭০, ১৭ নম্বরে ৪০, ৪ নম্বর ও ৩৯ নম্বরে ৩০ পাওয়া গেছে। ৬ নম্বর, ৭ নম্বর, ১৪ নম্বর, ১৯ নম্বর, ২০ নম্বর, ২১ নম্বর, ২২ নম্বর, ৪৩ নম্বর, ৪৭ নম্বর ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে লার্ভার ঘনত্ব সূচক ২০। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে (তেজগাঁও) লার্ভার ঘনত্ব সূচক (বিআই) সর্বোচ্চ ৪০। এর পর ১ নম্বর (তুরাগ), ৪ নম্বর ওয়ার্ড (পল্লবী) এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বনানী, গুলশান, বারিধারা) লার্ভার ঘনত্ব সূচক ৩০ পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা গত ২৪ জুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার বংশবিস্তার আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে যেখানে মশার প্রজনন হতো না, এখন সেখানেও মশা বংশবিস্তার করছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বছরে তিনবার এডিস মশার জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। চলতি বছর মার্চ মাসে জরিপে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব পরিমাপে ব্যবহৃত সূচকের মাত্রা বেশি দেখা গেছে। এসব এলাকার তালিকা সিটি করপোরেশনে পাঠানো হয়েছে।

কোথায় চিকিৎসা নেবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, জ্বরে আক্রান্ত হলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডেঙ্গুর পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো বিলম্ব করা যাবে না। আক্রান্তরা সরকারি ও বেসরকারি উভয় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় একটি গাইডলাইনও করা আছে। চিকিৎসকরা গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন। আক্রান্ত সব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না।

তিনি বলেন, জ্বর এলেই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসক ডেঙ্গু পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। কোনোভাবেই জ্বর নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। রোগীরা নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা করা যাবে। রোগীর পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতালে যাবেন। এক প্রশ্নে বলেন, আক্রান্ত কিছু রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগে। হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। সরকারি হাসপাতালে শিশুদের জন্য আইসিইউ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গুজ্বরের রোগী এখন চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগে পাওয়া যাচ্ছে। ওই সব এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বাইরে ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

কন্ট্রোলরুমের তথ্য বলছে, চলতি বছর রাজধানীর বাইরের বিভাগীয় পর্যায়ে ৮১ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮, চট্টগ্রামে ৮, খুলনায় ৩৭, বরিশালে ৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877