স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা ও বোনকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে বাবা মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাস। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝুমা রানীকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এদিকে, মামলার একমাত্র আসামি মোহন্দ্র চন্দ্র অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। পরে মোহন্দ্র চন্দ্র দাসও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার গভীর রাতে মামলা দায়ের করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত শুক্রবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে ঝুমা রানী দাস (১৪) ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, তার বাবা সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।