স্বদেশ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ভারতীয় রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রে এটাই অক্সিজেন এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রা।
১০টি কনটেইনারে ২০০ টন লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে যশোরের বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছে ভারতের এই বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয় বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের বেনাপোলস্থ সহকারী স্টেশন মাস্টার পারভিন খাতুন। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেনটি ভারতে ফিরে যাবে।
মুমূর্ষু করোনা রোগীর জীবন রক্ষাকারী এই অক্সিজেনের আমদানিকারক লিন্ডে বাংলাদেশ, রপ্তানিকারক ‘লিন্ডে ইন্ডিয়া’। আর বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথী এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার কল্যাণ মিত্র জানান, অক্সিজেনবাহী ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে খালাস দেওয়া হয়। ঈদের ছুটির মধ্যে অক্সিজেনসহ জরুরি সামগ্রী আমদানিতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতায় কাস্টমস সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে ২০০ টন এলএমও পরিবহনের জন্য ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের অধীনস্থ চক্রদহরপুরের টাটায় একটি ইনডেন্ট স্থাপন করা হয়। শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ১০টি কনটেইনারে এ তরল অক্সিজেন ভরার কাজ শেষ হয়। চালানটি বাংলাদেশের তরল মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে তরল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেস সেবা চালু করে। ইতোমধ্যে ৪৮০টি যাত্রার মাধ্যমে এই অক্সিজেন এক্সপ্রেস ভারতের ১৫টি রাজ্যে ৩৫ হাজার টনের বেশি অক্সিজেন পরিবহন করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতীয় রেলওয়ে বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যত বেশি সম্ভব তরল অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টা করবে। এই অক্সিজেন বাংলাদেশে পৌঁছানো হবে এবং দেশের চলমান কোভিড ঢেউ মোকাবিলায় আমাদের অংশীদারদের সমর্থনের জন্য দেশের হাসপাতালগুলোয় সরবরাহ করা হবে। ভারত তার মহামারী পরিস্থিতি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের মধ্যে নিকটতম অংশীদারদের সঙ্গে চিকিৎসা সরবরাহ ভাগ করে নেওয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।