স্বদেশ ডেস্ক:
আবাসিক এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছিলেন মির্জা আখতার নামের এক আইনজীবী। এ সময় পাকিস্তানের করাচির এক সড়কে দুটি কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এর বিচারে ওই দুটি কুকুরকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া হয়। তবে এই শাস্তি কোনো আদালতে দেওয়া হয়নি। বরং কুকুরের মালিক হুমায়ুন খান ও আইনজীবী মিলে এই শাস্তি দিয়েছেন।
গাল্ফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিনের মতো গত মাসের এক সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলেন মির্জা আখতার। এ সময় দুটি কুকুর তার ওপর হামলা করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ফাঁকা সড়কে দুটি কুকুর আইনজীবীর ওপর চড়াও হয়। ওই ভিডিওটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপর কুকুরের মালিক হুমায়ুন খানের সঙ্গে ও আইনজীবী মির্জার মধ্যে সমঝোতা হয়। শেষ পর্যন্ত কুকুরের মালিককে ক্ষমা করে দিতে রাজি হয়েছেন, তবে শর্তসাপেক্ষে। প্রধানতম শর্তই হলো কুকুর দুটিকে কোনো পশু চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে বিনা যন্ত্রণায় মেরে ফেলতে হবে। ওই ধরনের আরও কুকুর তার কাছে থাকলে তাকেও দিতে হবে।
এ ছাড়া আইনজীবীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে কুকুরের মালিককে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো হিংস্র কুকুর তিনি পুষবেন না। আরেকটি শর্ত ছিল, যদি তার কোনো পোষ্য থাকে, তবে ক্লিফটন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে সেটির নাম নথিভুক্ত করতে হবে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হ্যান্ডলার ছাড়া সেই পোষ্যকে রাস্তায় বের করা যাবে না।
এমনই নানা শর্তের মাধ্যমে বোঝাপড়া হয়েছে। সাক্ষীদের দিয়ে সইও করানো হয়েছে। তা আদালতে জমাও দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বোঝাপড়ার ঘটনায় পশুপ্রেমীরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।