স্বদেশ ডেস্ক:
ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের অধীনে ট্রেনচালক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে ২৪ ট্রেনে ৪৮ চালক থাকবেন। অতিরিক্ত থাকবেন আরও ১০ জন। সব মিলিয়ে ৫৮ জন চালক থাকবেন উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর রুটের ট্রেনে। এর মধ্যে নাসরুল্লাহ ইবনে হাকিম নামে একজনকে ইতোমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নাসরুল্লাহই হলেন মেট্রোরেলের প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত চালক।
জানা গেছে, নিয়োগের পর থেকে নাসরুল্লাহ ইবনে হাকিমের শিক্ষানবিস পর্ব শুরু হয়েছে। আগামী ২১ আগস্ট তার শিক্ষানবিসকাল শেষ হচ্ছে। তার বাড়ি খুলনার পাইকগাছায়। বর্তমানে তিনি থাকছেন মেট্রোরেল প্রকল্পের ডিপো এলাকার অদূরে উত্তরার দিয়াবাড়িতে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মেট্রোরেল চলবে। ট্রেন চলবে ওসিসি বা অপারেশন কন্ট্রোল সিস্টেম থেকে। মেট্রোরেল চলতে চলতে ওসিসির সঙ্গে কখনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে চালক ট্রেনটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবেন। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় এটিপি বা অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন। মেট্রোরেলের চালক ট্রেন মনিটরিং করবেন। ট্রেনের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা থাকবে। বগিগুলোর ভেতরে ও বাইরে
সব কিছু ঠিকমতো আছে কিনা সিসি ক্যামেরায় তা খেয়ালও রাখবেন ওই চালক। পাশাপাশি তিনি ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো বাধা, গ্যাসের চাপ, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নজরে রাখবেন।
নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর চালককে কয়েকটি প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। সঙ্গে স্টেশন কন্ট্রোলাররা থাকেন। প্রথম প্রশিক্ষণের নাম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং। সেখানে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং ছিল দুই মাসের। এর পর রেলওয়ে একাডেমির প্রশিক্ষণ কোর্সও ছিল দুই মাসের। পরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানিতে আনা হয়। বাংলাদেশে মেট্রোরেলের যেসব ট্রেন সেট আসছে, সেগুলোর প্রতিটিতে ছয়টি করে বগি থাকছে। থাকছে ট্রেইলার কার। ট্রেইলার কার ট্রেনকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। ট্রেন ঘোরানোর দরকার হবে না। ট্রেইলার কার দুটি থাকবে দুই প্রান্তে। একটি নিয়ে যাবে, আরেকটি ফেরার পথে ট্রেনকে টেনে আনবে। ট্রেনের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার। তবে ঢাকায় এক বা দেড় কিলোমিটার পর পর রেলস্টেশন থাকবে। ফলে গতিবেগ কম হবে। মেট্রো ট্রেনের মধ্যস্থলের কারগুলো মূলত মোটরকার। এসব কারে চড়বেন যাত্রীরা। সব মোটর কার মিলে একটি ট্রেনে ১৭৮৩ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।