স্বদেশ ডেস্ক:
পরকীয়ায় জড়িয়ে উঠে গিয়েছিল স্বামীর প্রতি মন। আইনজীবী স্বামী আদালতে গেলেই প্রেমিককে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতেন। পরকীয়ার পথের কাঁটা সরাতে একসময় চিন্তা করেন স্বামীকে হত্যার। কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রচার করেন ডায়াবেটিস নিল হয়ে মারা গেছেন স্বামী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, স্বামীর মৃত্যুর ১৫ দিনের মাথায় প্রেমিককে বিয়ে ও কিছু অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহবশত হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই।
অবশেষে সিলেটে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় গত রবিবার বিকালে রিমান্ড শেষে সিলেট মুখ্য মহানগর আদালতে হাজির করলে শিপা বেগম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরকীয়ার জেরে স্বামী আনোয়ার হোসেনকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করেছেন বলে তিনি স্বীকারোক্তি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পরকীয়ার জেরে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনের খালাতো ভাই শাহজাহান চৌধুরী মাহির সহযোগিতায় শিপা বেগম ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে তার স্বামীকে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন। তিনি ২৮ এপ্রিল ঘুমের ওষুধ কিনে আনেন। ২৯ এপ্রিল আনোয়ার হোসেনকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এর পর তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন রাতে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় শিপা বেগমকে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩ জুন দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১ জুন থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারের দীঘিরপার গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন।
মামলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এতে নিহতের খালাতো ভাই শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে প্রধান আসামি ও নিহতের স্ত্রী শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। এ ছাড়া মোট আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।