স্বদেশ ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গতকাল সোমবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৫৫ জন এবং এদিন মারা গেছেন ৬ হাজার ৬৭১ জন। তার আগের দিন রোবববার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৯৬ জন এবং মারা গিয়েছিলেন ৮ হাজার ৫৬০ জন।
দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে গতকাল সোমবার শীর্ষে থাকা দুই দেশ- ভারত ও ব্রাজিল। ভারতে এদিন করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৫৯৭ এবং মৃতের সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৪৫২। এদিকে, ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৮৬৫ এবং মৃতের সংখ্যা ৯২৮ জন।
আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় থাকা তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনায় গতকাল সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ২৯২ জন এবং মারা গেছেন ৬৮৬ জন। আর কলম্বিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৭৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৮৮ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের উচ্চহার দেখা গেছে সেগুলো হলো- রাশিয়া (আক্রান্ত ১৩ হাজার ৭২১, মৃত্যু ৩৭১), ইরান (আক্রান্ত ১০ হাজার ৭১৫, মৃ্ত্যু ১১৯), যুক্তরাষ্ট্র (আক্রান্ত ৯ হাজার ৯১৮, মৃ্ত্যু ২০৪), ইন্দোনেশিয়া (আক্রান্ত ৮ হাজার ১৮৯, মৃত্যু ২৩৭), চিলি (আক্রান্ত ৬ হাজার ১৯০, মৃত্যু ৯৭), ফিলিপাইন (আক্রান্ত ৬ হাজার ৪২৬, মৃত্যু ৫৭), তুরস্ক (আক্রান্ত ৫ হাজার ৬২৬, মৃত্যু ৭৪)।
এদিকে বর্তমানে বিশ্বে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ ৯১ হাজার ২৭৮ জনে। এদের মধ্যে এই রোগের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫১ জন এবং গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ৮৪ হাজার ৬২৭ জন। মহমারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৩৩১ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৮ লাখ ২৭ হাজার ৪৩০ জনের।
তবে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৬ কোটি ১২ লাখ ১ হাজার ৬২৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে সাধারণভাবে এই ভাইরাসটি পরিচিতি পায় নতুন বা নভেল করোনাভাইরাস নামে। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছে উহানেই। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তখন জানানো হয়েছিল, ‘অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি ঘোষণা ডব্লিউএইচও।