স্বদেশ ডেস্ক:
স্বর্ণা আক্তার মীম (১৯) ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন পছন্দের মানুষ কামরুল হসানকে। অনেক স্বপ্ন ছিল স্বামীর বাড়ি গিয়ে সুখের সংসার সাজাবেন। কিন্তু কে জানত- হাতের মেহেদি শুকানোর আগেই, বিয়ের মাত্র ১৬ দিনের মাথায় লাশ হতে হবে তাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে স্বর্ণার পরিবারের দাবি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
স্বর্ণা আক্তার মীম ধামতী উত্তরপাড়ার মৃত মো. সামসুল হকের মেয়ে। তার এ বছর ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে একটি গাছ থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা জানা যাবে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা ভালোবেসে গত ১৯ এপ্রিল কুমিল্লা কোর্টে বিয়ে করেন একই গ্রামের রহিম মাস্টারের ছেলে কামরুলকে। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি কামরুলের বাবা আব্দুর রহিম মাস্টার। এতে বিপত্তি বাঁধে কামরুল ও স্বর্ণার নতুন সংসারে। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই স্বর্ণা কামরুলকে নিয়ে দেবিদ্বারে তার বড় বোনের বাসায় থাকতেন। পরে গত শনিবার বোনের বাড়ি থেকে ধামতী বাবার বাড়িতে আসেন। শুক্রবার ভোরে সেহরির সময়ে বড় বোন শিল্পী স্বর্ণার মোবাইল ফোন বন্ধ পান। তিনি পাশের ঘরের চাচিকে ফোন করে স্বর্ণার খোঁজ নেন। পরে চাচা ও চাচি স্বর্ণাকে ডাকাডাকি করে ঘরে না পেয়ে পেছনের দরজা খোলা দেখতে পান। তারা বাহিরে পুকুর পাড়ে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বর্ণার লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন।
স্বামী মো. কামরুল হাসান বলেন, রাত ১২টায় আমি ফোনে কথা বলেছি, ভোর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বর্ণার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমি ছুটে যাই। আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে কেউ হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।