স্বদেশ ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ রাজধানী ঢাকায় নিয়েছেন সাব্বির হোসেন। তার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার তারিখ আগামীকাল। কিন্তু জরুরি কাজে যশোর গিয়ে তিনি সেখানে আটকা পড়েছেন লকডাউনে। যশোরের একটি টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে তিনি টিকা নিতে চান জানালে সেখান থেকে বলা হয়, টিকা নিতে পারলেও তিনি সার্টিফিকেট পাবেন না।
লকডাউনে আটকে পড়েছেন অনেকেই। কেউ ঢাকার বাইরে থেকে এসে ঢাকায়, কেউবা আবার ঢাকার বাইরে গিয়ে। তাদের অনেকেই টিকার দ্বিতীয় ডোজের তারিখ চলে আসায় উদ্বিগ্ন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, টিকাকেন্দ্র বদলানোর কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া কেন্দ্র থেকেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত নেওয়া যায়। এখনই কেন্দ্র পরিবর্তন করাটা একটু চ্যালেঞ্জিং। সফটওয়্যারের ওপর চাপ পড়বে।’
টিকাকেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে সিস্টেমে চাপ পড়বে।আর অফিসিয়ালি কেন্দ্র পরিবর্তন না করলে পরে টিকার সনদ পেতে সমস্যা হবে। এই কারণেও আমরা এখন এ নিয়ে কিছু করছি না। যদি দেখি যে লকডাউন বেশি লম্বা হয়ে যাচ্ছে তখন এ নিয়ে কাজ করব। আপাতত যেহেতু ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকা দেওয়ার সুযোগ আছে, তখন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। এরমধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেলে সবাই নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।’
অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তাই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। তারপরও যদি লকডাউন দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’