স্বদেশ ডেস্ক;
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ দেখান মামুনুল হক সমর্থক ছাত্র-শিক্ষকরা। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে জানা গেছে, আজ সোমবার আদালতে পাঠিয়ে মামুনুল হকের সাতদিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে এ তথ্য জানান রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, মামুনুলকে আগামীকাল আদালতে প্রেরণ করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার বেলা ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল গণমাধ্যমকে বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মাদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মতিঝিল, পল্টন ও নারায়ণগঞ্জে আরও কয়েকটি মামলা আছে। সেগুলো পরে সমন্বয় করা হবে। সোমবার মামুনুলকে আদালতে তোলা হবে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও থানা কমপ্লেক্সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিন বিয়ের কথা স্বীকার করেন মামুনুল হক। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বিয়ের পর যে দুই নারীর কথা আলোচনায় এসেছে তারা দুজনই তার স্ত্রী। এসব বিয়ে তিনি সামাজিকভাবে গোপন রেখেছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।