শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন

নমুনা পরীক্ষা অর্ধেকে নেমে এসেছে

নমুনা পরীক্ষা অর্ধেকে নেমে এসেছে

স্বদেশ ডেস্ক:

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু বেড়েই চলছে। আগের মৃত্যুর রেকর্ড ভেঙে প্রতিনিয়ত নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৩৮৫ জন। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৮ জন। এদিকে দেশে কোভিডের সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতেও কমছে নমুনা পরীক্ষা। লকডাউনের পর থেকেই কোভিডের নমুনা পরীক্ষা কমছে। গত দুই দিনের হিসাব বলছে, কোভিডের নমুনা পরীক্ষা লকডাউনের আগের পরীক্ষার তুলনায় প্রায় ৪১ থেকে ৫৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এতে রোগী শনাক্ত কম দেখা যাচ্ছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয়। রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু ঘটে। ওইদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে

এখন পর্যন্ত ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন। মোট নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে গত ১৪ এপ্রিল। লকডাউন শুরুর আগের দুই দিন প্রায় ৩৩ থেকে ৩৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বর্তমানে সেখানে ১৭ থেকে ২০ হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নমুনা পরীক্ষার চিত্র অনুযায়ী, গত ১৩ এপ্রিল লকডাউনের আগের দিন ৩২ হাজার ৯৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর আগের দিন ১২ এপ্রিল ৩৪ হাজার ৯৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। ১৪ এপ্রিল লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই কমতে শুরু করে নমুনা পরীক্ষা। ওইদিন করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৮২৫ জনের পরীক্ষা। অর্থাৎ একদিনেই নমুনা কমে ১০ হাজার ১৩০ জনের। তারপর ধারাবাহিকভাবে কমছে নমুনা পরীক্ষা। পরিসংখ্যান বলছে, ১৫ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা হয় ১৯ হাজার ৯৫৯ জনের; ১৬ এপ্রিল ১৮ হাজার ৯০৬ জনের; ১৭ এপ্রিল ১৬ হাজার ১৮৫ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪০৪ জনের। লকডাউনের আগের দিনের তুলনায় গতকাল ৪১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ১২ এপ্রিলের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ পরীক্ষা কম হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে কোভিডে সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় বেশি করে পরীক্ষা, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন করতে হবে।

কোভিড ১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় গৃহীত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কামটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, লকডাউনের কারণে কোভিডের নমুনা পরীক্ষা কমে গেছে। মানুষ লকডাউনের জন্য বাইরে কম যাচ্ছে, ফলে অনেকেই পরীক্ষা করতে যাচ্ছে না। তবে পরীক্ষার সংখ্যা কমলেও সংক্রমণের হার কমেনি। সংক্রমণ হার কমানো হলো বড় কাজ। সংক্রমণ কমানো না গেলে মৃত্যু আরও বাড়বে। এ ছাড়া যারা শনাক্ত হচ্ছে তাদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন করতে হবে। না হলে সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৯৮ জন। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ জন এবং নারী ৪৩ জন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৬ হাজার ১২১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৪৯৪ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৩৪৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৯৫৭ জন। কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৪৪৮। কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫১ হাজার ৩৬০ জন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877