স্বদেশ ডেস্ক: কেবল চোখ দেখেই নির্ণয় করা যায় কোনো কোনো রোগ। চোখের সাদা অংশ লাল হলে, পানি পড়লে, প্রদাহ হলে তার নাম চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগ। শীতকালে শিশু ও বড়দের এ রোগ সবচেয়ে বেশি হতে দেখা দেয়। তাই এ জন্য নিতে হয় বাড়তি সতর্কতা।
উপসর্গ : চোখের সাদা অংশ লাল হয়। চোখের পাতা ফুলে যায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে। চোখে জ্বালাপোড়া করে। চোখে হলুদ, সাদা রঙের ময়লা জমে। ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের দুপাতা একসঙ্গে লেগে থাকে। হালকা জ্বর ও মাথাব্যথা হয়।
জীবাণু ছড়ায় যেভাবে : চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এটি হয়। অপরিষ্কার হাত, আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে, আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, গামছা ব্যবহারে চোখ উঠতে পারে। অ্যালার্জি ধুলাবালির মাধ্যমে। চোখের কসমেটিকস ব্যবহারে চোখ উঠতে পারে।
চিকিৎসা : যেসব কারণে চোখ ওঠে, তা থেকে দূরে থাকতে হবে। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চোখের পাতা খোলা রাখতে হবে। চোখে কালো চশমা পরতে পারেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খান। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলতে হবে।
যখন চিকিৎসা নেবেন : চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা পদার্থ বের হয়। চোখে ব্যথা। চোখে ঝাপসা দেখতে পেলে বা দেখতে সমস্যা হলে। রোদে গেলে কিংবা কোনো অ্যালার্জিক বস্তুতে চোখে সমস্যা হলে। চোখের সাদা অংশ ফুলে উঠলে। লাল হয়ে গেলে।
যা করবেন না : চোখের চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া চোখের ড্রপ ও ওষুধ মোটেও ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
প্রতিকার : রোগটি ছোঁয়াচে বলে পরিবারের একজন থেকে অন্যজনের হতে পারে। তাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করুন। চোখে হাত দেবেন না।