স্বদেশ ডেস্ক: চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিরসন, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ ১০০ দিনের অগ্রাধিকার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ৩৭ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
তবে করোনাকালে হতে যাওয়া নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নগরের স্বাস্থ্যসেবা খাতে। এর বাইরে রাজস্বসহ সব সেবাখাতকে ‘ওয়ান স্টপ’ ডিজিটাল সার্ভারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এ ইশতেহারে।
শনিবার বন্দরনগরীর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চোধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অঙ্গীকারের স্বপ্নের কাচ্চি বিরিয়ানি নয়, নগরীর বিপুল জনগোষ্ঠীকে ন্যূনতম সেবা দিতে পারাটাই আসল যোগ্যতা।’
তিনি বলেন, ‘আমার কিছু পাওয়ার নেই। পারিবারিক ভাবে সব পার্থিব অর্জন আমার আছে। সুযোগ পেলে নিজের মেধা-মনন, কর্ম, সবকিছু নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করাই আমার আসল অঙ্গীকার।’
আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী ইশতেহারের ৩৭ দফার মধ্যে জলবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ, ওয়াসা, সিটি কেেপারেশনের চলমান কাজে সর্বোচ্চ মনোযোগ, খাল-নদী পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশন উপযোগী করতে ১০০ দিনের মধ্যে সব ত্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা নির্মূলে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। তাছাড়াও করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবার পৃথক সাতটি কাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ইশতেহারে।
ইশতেহারে কিশোর অপরাধের কারণ ও কিশোর অপরাধী গ্যাং, মাদক ও অপরাধের আখড়া গুড়িয়ে দিয়ে নাগরিক স্বস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।