স্বদেশ ডেস্ক:
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় দুদকের সাত দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল রাতে রমনা মডেল থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি অসুস্থ বোধ করেন।
এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রবণ কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রবণ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাতে সাহেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি সুস্থ হলে আগামীকাল তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
সাত দিনের রিমান্ডের মধ্যে প্রথম দিনের রিমান্ড শেষ হলে তাকে রমনা মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়। রিমান্ডের আগামী ছয় দিন তার সেখানেই থাকার কথা।
পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে সাত দিনের রিমান্ডে এনে গতকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেল পাঁচটায় সাহেদকে রমনা মডেল থানায় নেওয়া হয়। তাকে আরও ছয় দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও সাহেদের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি ও করোনার সনদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালককে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
গতকাল দুদকের সচিব মো. দিলওয়ার বখতের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, তাদের তথ্য-উপাত্ত ধরে আর কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না। কারণ, চুক্তির সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন। জবাবে দিলওয়ার বখত বলেন, ‘আমি জানি না। এটা অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যাঁকে প্রয়োজন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’