স্পোর্টস ডেস্ক:
আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের আগে বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন দলের তিন খেলোয়াড়। এই তিন ক্রিকেটার হলেন লেগ-স্পিনার শাদাব খান, ডানহাতি তরুণ পেসার হারিস রউফ এবং অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ওপেনার হায়দার আলি। গতকাল রাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরের দফায় পজেটিভ ৭ ক্রিকেটার হচ্ছেনÑ ফখর, ইমরান, কাশিফ, হাফিজ, হাসনাইন, রিজওয়ান ও রিয়াজ।
আগামী ২৮ জুন ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে পাকিস্তান। তাই ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে সকল খেলোয়াড় ও স্টাফের জন্য দুবার করোনা পরীক্ষার সিদ্বান্ত নেয় পিসিবি।
সকল খেলোয়াড় নিজ নিজ এলাকায় করোনা পরীক্ষা করবে। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এলো শাদাব, রউফ এবং হায়দারের।
আক্রান্ত তিন ক্রিকেটারের শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি বলে জানায় পিসিবি। এক বিবৃতিতে পিসিবি জানায়, ‘পিসিবির মেডিক্যাল প্যানেল এই তিন খেলোয়াড়ের চিকিৎসা দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ করছে এবং তাদের স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।’
রাওয়ালপিন্ডিতে অন্য দুই খেলোয়াড় ইমাদ ওয়াসিম এবং উসমান শিনওয়ারিও করোনা পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে পিসিবি, ‘রাওয়ালপিন্ডিতে ওয়াসিম এবং শিনওয়ারিও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাই তারা আগামী ২৪ জুন লাহোর সফর করতে পারবে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি সিরিজের জন্য একত্রে ২৯ সদস্যের দল ঘোষণা করে পিসিবি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ১৪ সদস্যের অফিশিয়ালরাও যাবে।
ইংল্যান্ড সফরে থাকা অন্য খেলোয়াড় ও অফিশিয়ালদের রিপোর্টের দিকে তীব্র নজর পিসিবির। করাচি, লাহোর ও পেশোওয়ারে করোনা পরীক্ষা হয়েছে পাকিস্তানের অন্য ক্রিকেটার ও অফিশিয়ালদের। আজই বাকিদের রিপোর্ট হাতে পাবে পিসিবি।
দ্বিতীয় দফায় ২৪ জুন আবারও করোনা পরীক্ষা করা হবে বাবর-আজহারদের। দ্বিতীয় পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার পর খেলোয়াড়দের ইংল্যান্ড সফরের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। লাহোরে সকল নিয়মকানুন শেষ করে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে পাকিস্তানের খেলোয়াড় ও অফিশিয়ালরা। ইংল্যান্ডে পৌঁছে দুসপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকবে পুরো দল। কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় পৃথক পৃথক গ্রুপে অনুশীলন করতে পারবে ক্রিকেটাররা। কোয়ারেন্টিন শেষে টেস্ট সিরিজের জন্য পুরোদমে অনুশীলন করবে বাবর-আজহারের দল।