স্বদেশ ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দেশটির রাজধানী। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে বিপুলসংখ্যক লোক। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। এক বিজেপি নেতার ইন্ধনে এই সঙ্ঘাত ঘটে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে এ দিনের সংঘর্ষে। সোমবার দিল্লির পরিস্থিতির যেসব ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে তাতে রাজধানীকে যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না বলে বিশ্লেষকেরা জানান। ভারতের মিডিয়ার খবরে বলা হয়, এই সঙ্ঘাতের সময় ধ্বংস হয়েছে একের পর এক গাড়ি বাড়ি দোকানপাট সব কিছুই। এমনকি পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন ভজনপুর আর একটি পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। নর্থ ইস্ট দিল্লি রাস্তা জুড়ে পড়ে আছে কাজ পাথরের টুকরো।
চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের শেল পাঠালেও পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। ইটের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রতনলাল নামে এক পুলিশের হেড কনস্টেবলের।
বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে গুরুতর চোট পান রতনলাল। তখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে বন্দুক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস