ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৩নং ওয়ার্ডে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হওয়া একটি পরিবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, তারা পরিবারের ৪ সদস্য ‘আদর্শ একাডেমি’ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে গিয়ে ছিলেন শনিবার দুপুরে। কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু ভিতরে যেতেই নৌকার এজেন্টরা তাদের ঘিরে ধরেন। অভিযোগকারী বলেন, আমরা তিন বোন একসাথে এসেছিলাম ভোট দিতে। কিন্তু কেন্দ্রে প্রবেশ করার পর আওয়ামী লীগের এজেন্ট রুমা বলেন, নৌকা এবং ঝুড়ি মার্কায় (আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান মামুন) ভোট দিয়ে মহিলা কমিশনার আপনার ইচ্ছে মতো নির্বাচন করতে পারবেন। প্রতিবাদ জানালে দায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বিকার বসে ছিলেন। একাধিকবার বুথের ভেতর একা যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভোট না দিয়ে ফিরে এসেছি। প্রায় একই রকম অভিযোগ করেছেন ধানমন্ডি ১৫/এ থেকে সিনিয়র একজন চিকিৎসক। তিনি বলেছেন, আমি ইভিএমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি জানি এটা বলার পরও বুথে একাধিক আওয়ামী লীগের এজেন্ট আমার সাথে প্রবেশ করে। একাধিকবার চিৎকার করার পরও তারা সরে যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমার আঙুল কালি দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ভোটের নামে এই ধরণের প্রহসনের মানে কি?স্বদেশ ডেস্ক: নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)‘সন্তুষ্ট’ থাকলেও কেন্দ্রে গিয়ে উল্টো চিত্র দেখতে পেয়েছেন ভোটাররা। শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নয়া দিগন্ত অফিসে ফোন দিয়ে বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন তারা। কেউ কেউ কেন্দ্রে গিয়ে মৌখিকভাবে লাঞ্চিত হয়ে ফিরে এসেছেন।