স্বদেশ ডেস্ক: বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও তার সহকারীদের বরখাস্ত করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের সঙ্গে ৩ ওয়ানডের সিরিজে দায়িত্ব পালন করলেও এ ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করেনি এসএলসি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর হাথুরুসিংহে ও বোর্ড বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছিল সমস্যার সুরাহা করতে। কিন্তু কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। বোর্ডের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়েছিলেন হাথুরু। সে লড়াই শুরু হলো উকিল নোটিসের মাধ্যমে। বাকি থাকা ১৮ মাসের পারিশ্রমিক, নিয়মবহির্ভূত চুক্তিভঙ্গ এবং নিজের ইমেজ নষ্টের দাবি তুলেছেন হাথুরু। ক্ষতিপূরণ বাবদ এসএলসির কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা) দাবি করেছেন হাথুরু। বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মোহন ডি সিলভাও নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে শেষ করে ৯৬-এর চ্যাম্পিয়ন ও দুবারের রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা। উচ্চ বেতন সত্ত্বেও দলের আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় কোচ হাথুরুর ওপর অসন্তুষ্ট হন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো। ক্রীড়ামন্ত্রী তখন বলেন, ‘হাথুরুকে যে বেতন দেওয়া হয় এর অর্ধেক বেতনে ভালোমানের বিদেশি কোচ পাওয়া সম্ভব।’ সেই থেকে হাথুরু ও বোর্ডের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের আগে নতুন কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেয় শ্রীলঙ্কা। পরে দেশটিতে টেস্ট সিরিজের ঠিক আগে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান মিকি আর্থার। ব্যাটিং কোচ গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। বোলিং কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড সকার ও ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট।
দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হওয়া হাথুরুসিংহে ফিরে গেছেন সিডনিতে তার পরিবারের কাছে। সেখান থেকেই উকিলের মাধ্যমে নোটিস পাঠান। হাথুরুর উকিলের মাধ্যমে জানা গেছে, নোটিসটি এখন চলে গেছে সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে। তার মানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত কোর্ট অব আরবিট্রেশন অব স্পোর্টসেই নিষ্পপ্তি হবে এ বিষয়ের। এদিকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, তারা হাথুরুর এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল। তাই তারাও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আগেভাগে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। ৪০ হাজার ডলার পারিশ্রমিক এবং অন্যান্য সুবিধাসহ মোট ৬০ হাজার ডলারে নিজের দেশের দায়িত্ব পাওয়ার প্রলোভন সামলাতে পারেননি। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। কিন্তু এত ভালোবাসার চাকরি খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। চুক্তির বাকি থাকা ১৮ মাসের মধ্যে হাথুরুকে ৬ মাসের পারিশ্রমিক প্রস্তাব করে। কিন্তু হাথুরু পুরো ১৮ মাসের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন।