স্বদেশ ডেস্ক:
ফরিদপুর সদর উপজেলায় এক যুবককে তুলে নিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার কানাইপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মমতাজ ফিলিং স্টেশন থেকে তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়।
এ তথ্যটি জানিয়েছেন নিহতের বড় ভাই রাজীব খান। নিহত ওবায়দুর রহমান খান (৩২) উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে।
রাজীব খান বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা ও তার বাহিনী আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। বিকাল ৪টার দিকে ওবায়দুর মমতাজ ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলে তেল নিতে যায়। এ সময় সেখান থেকে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে তাকে তুলে নিয়ে যায় খাজা বাহিনীর লোকজন। আমার ভাইয়ের মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা। ঘণ্টাখানেক পর জানতে পারি কে বা কারা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তার চোখ খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলে একটি পা ভেঙে দিয়েছে তারা। ওবায়দুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে মারা যায়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা. তাহিরা বলেন, ওবায়দুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়। আহতের মাথায় স্কালপে হেমাটোমা, চোখে আঘাতে রক্তক্ষরণ, বাঁ পা ভাঙাসহ শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ওবায়দুর নামের এক যুবক সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার পর পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।