স্বদেশ ডেস্ক: মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন আশিক আহমেদ৷ তার পর পরই তিনি মেলবোর্নে একটি ফাস্ট-ফুড চেইনে বার্গার বিলি করার কাজ নেন৷ অথচ এখন তিনি ১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের মালিক৷ তাকে নিয়ে এসবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে৷ আশিক আহমেদ ওই সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মেলবোর্নে যাওয়ার পর তাকে বেতন দেয়া হতো ঘন্টাভিত্তিক৷ এটা ছিল তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জের কাজ৷ সেখানে তিনি দেখেছেন কিভাবে ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে হয়৷ তার ছিল গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক৷

তিনি ওয়ার্কফোর্স ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ‘ডেপুটি’ প্রতিষ্ঠা কনে ২০০৮ সালে৷ তিনি এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা৷ এখান থেকে তারা সফটওয়্যার ব্যবসা শুরু করেন৷ এতে ব্যবসায়ী মালিকদের রোস্টার তৈরিতে সহায়ক হয়৷ কর্মীদের বেতন দেয়া সহজ হয়৷ এমন কি কোনো কোম্পানি তার ক্লায়েন্টদের তালিকা সমৃদ্ধ করতে পারে৷ কান্তা ও নাসা’র মাে প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ১ লাখ ৮৪ হাজার ক্লায়েন্টের তালিকা করা যায়৷ আশিক আহমেদের বয়স এখন ৩৮ বছর৷ ‘অস্ট্রেলিয়ান ফিনান্সিয়াল রিভিউ ইয়াং রিচ লিস্টে’ উছে তার নাম৷ এ সপ্তাহে প্রকাশিত এ তালিকায় তার নাম রয়েছে ২৫ নম্বরে৷ তাতে বলা হয়েছে, তিনি এখন ১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের মালিক৷ আশিক বলেছেন, তার কাছে কখনোই অর্থ জমা করাটা উদ্দেশ্য ছিল না৷ তার ভাষায়, আমি মনে করি অর্থ কখনোই আমার লক্ষ্য নয়৷ আমরা যা করছি তার আউটকাম হিসেবে এটা আসছে৷ কখনো তাই অর্থের জন্য কাজ করি নি৷ এখনও করি না৷ আমি ধনীর তালিকায় নাকি গরিবের তালিকায় আছি তা আমার কাছে কোনো বিষয়ই নয়৷ প্রতিদিন সকালে যখন বিছানা ছাড়ি তখন এতে আমার মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না৷

আশিক আহমেদ বলেছেন, তিনি সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে চান৷ তার ভাষায়, চারপাশের মানুষের জীবন থেকে আসে আমাদের জীবনের বৈধতা৷ অভিবাসী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে আমার পরামর্শ হলো, অস্ট্রেলিয়া হলো এমন একটি স্থান যেখানে আপনাকে সুযোগ খুঁজে নিয়ে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে৷ এখানে আপনার চারপাশের মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য আপনার নেশা থাকতে হবে৷