স্বদেশ ডেস্ক:
বুধবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা ‘নাজুক পর্যায়ে’ আছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র জড়িত রয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামাসের হাতে এখনো আটক কিছু পণবন্দীকে মুক্তি দেয়া এবং ইসরাইলের হাতে বন্দী ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দুই কর্মকর্তা ‘সকল জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনে সামনের দিনগুলোতে একসাথে কাজ অব্যাহত রাখার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বুধবার পণবন্দীদের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়ার পাশাপাশি হামাসের পণবন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বুধবারও তাদের সেনা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তারা বলেছে, তাদের বাহিনী গত দিনে হামাসের ৪০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে।
বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক দিনে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট নিহত মানুষের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৮৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সদস্য মর্যাদার সুপারিশ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের ওপর বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হতে পারে।
নিরাপত্তা পরিষদ যদি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের আবেদনের সুপারিশ করে, তাহলে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তা অনুমোদন করতে পারে।
তবে নিরাপত্তা পরিষদে এই পদক্ষেপের ভাগ্য স্পষ্ট নয়। কারণ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেবার ক্ষমতাধারী একটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা