স্বদেশ ডেস্ক:
মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
এদিন সকালে ২৯ জন আশ্রয় নেয় এবং বিকেলে আরো ১৪৬ জন আশ্রয় গ্রহণ করে সীমান্তে। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধসহ দুজন আহত। সকালে আশ্রয় গ্রহণকারী ২৯ সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন সদরে নেয়া হয়েছে। অন্যদেরও পর্যায়ক্রমে সেখানে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সীমান্তের ৪৫ নম্বর পিলার এলাকার জামছড়ি দিয়ে সকালে ২৯ জন বিজিপি সদস্য প্রবেশ করে। তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়। পরে বিকেলে নতুন করে আরো ১৪৬ জন সদস্য প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ এবং একজন অন্যভাবে আহত।
এ ঘটনায় বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়কসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তবে নতুন করে অনুপ্রবেশ করা বিজিপি সদস্যদের কোথায় রাখা হবে তা এখনো জানা যায়নি।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, মিয়ানমারের ঢেকু বুনিয়ার অভ্যন্তরে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সাথে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশের সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। পরে জামছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশের সীমান্তে আশ্রয় দেয়।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সকালে সীমান্ত দিয়ে ২৯ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ১৪৬ জনের আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি এখনো আমাদের কাছে তথ্য আসেনি।’
তবে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ১৭৫ জনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
এর আগে বান্দরবানের তুমব্রু ও ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে ১০১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছিল। পরে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।