স্বদেশ ডেস্ক:
এবার ৪০০ পুলিশ সদস্য সম্মানসূচক পদক পাচ্ছেন। অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাদের এই পদক দেয়া হচ্ছে। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য রয়েছেন ৬৬ জন। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য তাদের মনোনীত করা হয়।
এতে বলা হয়, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’ এবং ৬০ জন ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ পাচ্ছেন। এছাড়া মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জন ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পাচ্ছেন।
এর পাশাপাশি পুলিশ অধিদপ্তরের ৫৩ জন, জেলা পুলিশ সুপার ৩৩ জন এবং র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসানসহ ৩৮ জন পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া এবার মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন ছয়জন। এরমধ্যে ২৮ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত আমিরুল ইসলামও এ পদক পাবেন।
এবারের পুলিশ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)। সেখানে পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি প্যারেডে সালাম গ্রহণের পর নিজ হাতে এসব পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দিবেন।
এই পদক পুলিশের চাকরিতে খুবই সম্মানজনক। পুলিশ কর্মকর্তারা এ জন্য আর্থিক সুবিধা পান এবং নামের পাশে এই পদক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করেন।
চার ক্যাটাগরিতে ডিএমপির পদকপ্রাপ্তরা হলেন-
বিপিএম
বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেয়েছেন ৩৫ জন। এরমধ্যে ডিএমপির আছেন তিনজন। তারা হলেন– মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান, রমনার ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আবুল হাসান।
বিপিএম–সেবা
বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম–সেবা) পেয়েছেন ৯৫ জন। এর মধ্যে ডিএমপির নয়জন। তারা হলেন— অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, যুগ্ম কমিশনার (সিটিটিসি) এএইচএম কামরুজ্জামান, ডিএমপি সদরদপ্তরের ডিসি (ক্রাইম) আবু ইউসুফ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ডিসি তারেক আহমদ, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ মাহবুব উন নবী, এডিসি মো. আসাদুজ্জামান ও এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম।
পিপিএম
বাংলাদেশ পুলিশ পদক (সেবা) পেয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে ডিএমপির আছেন ২৫ জন। তারা হলেন— অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত জিয়াউল আহসান তালুকদার, সিটিটিসির ডিসি জসীম উদ্দিন, সিটিটিসির ডিসি মাহমুদুল হাসান, মতিঝিল বিভাগের এডিসি (ডিসি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গোবিন্দ চন্দ্র পাল, এডিসি ইহসানুল ফিরদাউস, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের এডিসি আনিচ উদ্দিন, ডিবি গুলশান বিভাগের এডিসি এস এম রেজাউল হক, ডিবি মতিঝিল বিভাগের এডিসি আফসার উদ্দিন খাঁন, সিটিটিসির এডিসি সাইদ নাসিরুল্লাহ, মতিঝিল বিভাগের এডিসি রওশানুল হক সৈকত, এডিসি রাশেদ হাসান, ওয়ারী ডেমরা জোনের এসি মধুসূদন দাস, রমনা জোনের এসি মুহাম্মদ সালমান ফার্সী, ডিবি উত্তরা বিভাগের এসি ইমরান হোসেন মোল্লা, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের এসি এম রফিকুল হাসান, মতিঝিল বিভাগের এসি গোলাম রুহানী, গুলশান বিভাগের এসি শফিকুল ইসলাম, সিটিটিসির এসি আরিফুল হোসাইন তুহিন, বিমাববন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত খান, মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভূঞা, শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ (বর্তমানে হাজারীবাগ থানার ওসি), পল্টন থানার পরিদর্শক হিরন্ময় বারুরী, ডিবি ওয়ারী বিভাগের পরিদর্শক রোকনুজ্জামান খান ও সিটিটিসির এসআই ফিরোজ মোল্লা।
পিপিএম–সেবা
বাংলাদেশ পুলিশ পদক (সেবা) পেয়েছেন ২১০ জন। এর মধ্যে ডিএমপির ২৯ সদস্য পেয়েছে। তারা হলেন— ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার হামিদা পারিভীন, লালবাগ বিভাগের ডিসি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জাফর হোসেন, গুলশান বিভাগের ডিসি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিফাত রহমান শামীম, ডিসি কাজী আশরাফুল আজীম, মিরপুর বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন মোল্লা, ডিবি উত্তর বিভাগের ডিসি আকরামুল হোসেন, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের এডিসি শফিকুল ইসলাম, ডিবি উত্তরা বিভাগের এডিসি আরিফুল ইসলাম, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের এডিসি কাজী মাকসুদা লিমা, মতিঝিল বিভাগের এডিসি রাশেদুল ইসলাম, উত্তর বিভাগের (ট্রাফিক) এডিসি মো. কামরুজ্জামান, ডিবি লালবাগ বিভাগের এডিসি মোস্তফা কামাল, ডিএমপির প্রটেকশনের বিভাগের এডিসি তপন কুমার দাস, ডিবি রমনা বিভাগের এডিসি মিশু বিশ্বাস, ডিবি উত্তরা বিভাগের এডিসি সাইফুল আলম মুজাহিদ, ডিএমপির এডিসি এনায়েত করিম, সিটিটিসির এসি নাজমুল ইসলাম, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের এসি জুয়েল রানা, মিরপুর বিভাগের এসি হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম, সিটিটিসির এসি ওবাইন, সিটিটিসির এসি আরিফ মুহাম্মদ শাকুর, ওয়ারী বিভাগের (ট্রাফিক) এসি নীপা বিশ্বাস, মতিঝিল বিভাগের এসি আব্দুল্লাহ–আল–মামুন, ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া, ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া (রমনা থানা) এবং উত্তরা আজমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই নাজমুল হোসেন। ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সার্জেন্ট মোর্শেদা, সার্জেন্ট বায়েজিদ হোসেন, সার্জেন্ট এমএম শরিফুল ইসলাম।