স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ক্ষমা চেয়েছেন। আবরার ফাহাদের জানাজায় উপস্থিত না হতে পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা কালে বুয়েটের ভিসি এ কথা জানান।
ভিসি বলেন, ‘আবরারের ময়নাতদন্তের পর ক্যাম্পাসে যে জানাজা হবে সেই ইনফরমেশন আমার কাছে ছিল না। একটা গ্যাপ হয়েছিল। পরে জানতে পেরে যখন যেতে চেয়েছি, ততক্ষণে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেয়া হবে। বুয়েটে র্যাগিং বন্ধ হবে। এছাড়া আবরার ফাহাদ হত্যার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আবরার হত্যার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো শুক্রবার সকাল থেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিল ও পথনাটকসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত রোববার রাত আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষে তাকে নির্যাতন করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হল থেকেই তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার ঘটনায় খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।