স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে আসার সময় রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে। একই ট্রেনে কয়েক দিন আগে স্লিপার খুলে ফেলা হয়েছিল। সেখানে একজন মারা গিয়েছিল। একই ট্রেন- সেই ট্রেনের নিরাপত্তা কোথায়? কেন আজ চারজন মানুষ পুড়ে মারা গেল? এটার সাথে রাষ্ট্রক্ষমতার নিশ্চিত সম্পর্ক আছে।’
ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত ছাড়াই আন্দোলনকারীদের দোষারোপ করায় ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এটার সাথে আন্দোলনকারীদের সম্পৃক্ততা আছে। কিন্তু আপনি তো তদন্ত শুরুই করেননি, তার আগে কিভাবে এটা বলে দিলেন? অনেকগুলো সিমটম থেকে বোঝা যায়, এটার সাথে সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে। এটা আমরা মনে করি এবং জনগণ মনে করে। একই ট্রেন বারবার আক্রান্ত হচ্ছে আর সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। অবলীলায় এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল। এগুলো থেকে কি মনে হয় না এই ঘটনার সাথে সরকারের সম্পৃক্ততা আছে?’
তিনি বলেন, ‘অবরোধ-হরতালকারীদের ওপর দোষ চাপানোর জন্যই এটা একটা পরিকল্পনা। সরকার এখন জঙ্গি-নাশকতার আশঙ্কা করবে- এটা আমরা প্রতিদিনই বলে আসছি। এবং সেটা আজ বাস্তবে প্রতিপালিত হচ্ছে রেলের ঘটনা দিয়ে।’
‘এক গণবিরোধী ও মানবতাবিরোধী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। তারা জনগণের দাবি-আকাঙ্ক্ষা কর্ণপাত করে না। তারা যে জোর করে ক্ষমতা ধরে আছে এটা তারা মানতে চায় না বলেই জনগণের ওপর ক্ষমতার অপব্যবহার করছে,’ বলেন রিজভী।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আবারো সরকার একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে আহ্বান জানিয়েছেন এবং অনুরোধ জানিয়েছেন কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ দিয়ে একবারও বের হয় না। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতা জনগণের কাছে চলে যাবে, তারা তা চায় না।’
রিজভী বলেন, ‘সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন সবাই এখন সরকারের কথা বলে। এই বিপন্ন সময় এদেশের জনগণ এর আগে দেখেছি কিনা আমার জানা নেই।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমে এসেছে যারা নৌকায় ভোট দিবে না তাদেরকে এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না। কি অনাচারের মধ্য দিয়ে দেশ চলছে!’