স্বদেশ ডেস্ক:
মিয়ানমারের পাচার হওয়া নাগরিকদের অঙ্গ বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকেও রাখা হয়েছে অনেককে। এমনটাই জানিয়েছেন ভিয়েতনামের একটি দাতব্য সংস্থা ব্লু ড্রাগন। প্রতারণায় কোটা পূরণ না করলেই দেওয়া হচ্ছে হুমকি। বৃহস্পতিবার এএফপির প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় অনুসারে, কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার লোককে দেশটির ‘কমপাউন্ডে’ আটকে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে অসংখ্য চীন, ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন।
পাচারকৃতদের অনলাইনে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হয়। স্বদেশিদের টার্গেট করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাচার হওয়া প্রতিজন ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট কোটা পূরণ করতে হয়। সেই লক্ষ্য পূরণ না হলেই শাস্তি। সে শাস্তিই হলো অঙ্গ বিক্রিতে বাধ্য করা।
ব্লু ড্রাগনের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্রসোভস্কি বলেন, পরিশ্রম না করলে পাচারকারীরা তাদের শিকারের অঙ্গ, যেমন কিডনি নিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের অনেকেই এভাবে একাধিক শোষণের সম্মুখীন হয়েছে। পাচারকৃত ভিয়েতনামের নাগরিকদের সম্পর্কে ব্রসোভস্কি বলেন, তাদের শরণার্থীদের মতো রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই মুক্তি পেলেও ভিয়েতনামের অনেকে বাড়ি ফিরতে পারেনি।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, প্রায় ৭০০ ভিয়েতনামি নাগরিক মিয়ানমারে আটকা পড়েছেন এবং তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।