স্বদেশ ডেস্ক:
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস কোনো ধরনের বিনিময় ছাড়াই তাদের কাছে বন্দী থাইল্যান্ডের নাগরিকদের মুক্তি দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৯ থাইকে তারা মুক্তি দিয়েছে। তাদের হাতে আরো ১৩ জন থাই নাগরিক বন্দী রয়েছে। থাইল্যান্ডের একটি মুসলিম গ্রুপ হামাসের সাথে সরাসরি কথা বলার পর এসব থাইকে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের অভিযানের সময় এসব থাইও আটক হয়। তারা প্রধানত শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে থাইল্যান্ডে গিয়েছিল। ওই সময় ৩৯ থাই নাগরিক নিহত হয়েছিল।
থাই উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা বুধবার মুক্তিপ্রাপ্ত আরো দুই থাই নাগরিককে উষ্ণভাবে স্বাগত জানান।
তিনি তার সামাজিক মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আরো দুই থাই পণবন্দীকে স্বাগত জানাতে পেরে খুশি। তারা মুক্তির পর তেল আবিবের একটি হাসপাতালে এসেছে।’
থাইল্যান্ডের একটি মুসলিম গ্রুপ সোমবার তাদের দেশের নাগরিকদের মুক্তির ব্যাপারে সরাসরি হামাসের সাথে কথা বলে। এরপরই তাদের মুক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত হয়। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আলোচনায় অনেক পক্ষই জড়িত ছিল।
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের আগে প্রায় ৩০ হাজার থাই শ্রমিক ইসরাইলের কৃষি খাতে কর্মরত ছিল। তারাই ইসরাইলে বৃহত্তম বিদেশী শ্রমিক গ্রুপ। ওই ঘটনার পর প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক থাইল্যান্ডে ফিরে গেছে।