স্বদেশ ডেস্ক:
শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত তফসিল ঘোষণা করব।’
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিব বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এর আগে, বুধবার (৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো: জাহাংগীর আলম বলেন, সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মতো পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে ইসি বদ্ধপরিকর। এ বিষয়ে সিইসি বারবার বলেছেন। সব প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে (দ্বিতীয় সপ্তাহ) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে।
ইসি সচিব আরো বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন প্রস্তুতি সংক্রান্ত সব ধরনের অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করা হবে। প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা থাকলে তা কমিশন শুনবে। তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের।
বিদেশী পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সচিব জানান, এ পর্যন্ত কমিশনকে মেইলে তিনটি (এনডিআই, ইইউ ও কমনওয়েলথ) প্রতিষ্ঠান কনফার্ম করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটা প্রি-অ্যাসেসমেন্ট করে গেছে। ইইউ আগেই বলেছে, অতি সম্প্রতি কমনওয়েলথের একটি টিম ইসির সাক্ষাতের সময় চেয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ নভেম্বরের মধ্যে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের আবেদন করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সেলের মাধ্যমে সমন্বয়ের পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে।
আগামী সপ্তাহে ১২-১৪ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল হতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নেবে তখন গণমাধ্যমে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে, সব এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনী মালামালও ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাসময়ে পরিপত্র জারি করে। ইতোমধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে যাতে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করবে এবং সেভাবে মন্ত্রণালয় কাজ করবে।