স্বদেশ ডেস্ক:
আজ থেকে পদ্মা সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস চলবে। এর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন রেল যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে।
বুধবার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে এসে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টায়। এছাড়া দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ট্রেন হিসেবে ২ নভেম্বর বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫)। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ওপর তৈরি রেলপথ গত ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের ৭ দিন পর এই পথে বাণিজ্যিক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও ১৪ দিন পর ট্রেন চালানো হচ্ছে। এছাড়া এ রেলপথে যে উচ্চ ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল, জনসাধারণের কথা ভেবে সেটি কমিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
নতুন ভাড়া অনুযায়ী, খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ৯৫৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া এক হাজার ১৪৫ টাকা এবং এসি বার্থে ভাড়া এক হাজার ৭২০ টাকা।
রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, নতুন রুটের ট্রেনগুলো কমলাপুর স্টেশনের ৮, ৯ ও ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম হয়ে চলাচল করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত আরো পাঁচ জোড়া (১০টি) ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেনগুলো চালানো হবে।
এদিকে রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রয়েছে। এখন রাজশাহী থেকে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এটিকে ঢাকা পর্যন্ত নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা-পদ্মা সেতু-রাজবাড়ী রুটে একটি কমিউটার ট্রেন চালানোর কথাও ভাবছে রেলওয়ে।