শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ, প্রথম দিন ঝরল তিন প্রাণ

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ, প্রথম দিন ঝরল তিন প্রাণ

স্বদেশ ডেস্ক:

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারা দেশে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। কিশোরগঞ্জ ও সিলেটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকাসহ চার জেলায় ২৭ পুলিশসহ অন্তত ১২৪ জন আহত হয়েছেন। ঢাকাসহ ২০ জেলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ অন্তত ৩০৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

নিহতঅবরোধের প্রথম দিন ৩ মৃত্যুএর আগে গত রবিবার বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে কুমিল্লায় মিছিল করার সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান এক আওয়ামী লীগ নেতা। নীলফামারীতে হামলায় আওয়ামী লীগের এক নেতা মারা যান। আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাঁকে হত্যা করেছেন।

 

গত শনিবার রাতে ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশ গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত চার দিনে আটজনের মৃত্যু হলো। গতকাল সকালে কিশোরগঞ্জ, সিলেট, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় বিএনপির নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছাত্র ও কৃষক দলের দুজনের মৃত্যু হয়। সিলেটে পুলিশের ধাওয়ায় এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়। 

শনিবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রথমে কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

 

এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। শতাধিক পুলিশ ও সাংবাদিক ছাড়াও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। পরের দিন রবিবার বিএনপি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর গতকাল থেকে টানা তিন দিনের অবরোধের ডাক দেয়।

অবরোধের প্রথম দিন গতকাল সকালে মাতুয়াইলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হন পুলিশের তিন সদস্য। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট থানায় দুটি মামলা হয়েছে।

চানখাঁরপুলে আহত ৩ পুলিশ

পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় বিএনপির ডাকা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গতকাল দুপুরে ইটপাটকেলের আঘাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তিন কর্মকর্তা আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া মিরপুর, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। এদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতা ঠেকাতে সোমবার গভীর রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সাদা পোশাকেও কাজ করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ডিএমপি সূত্র বলছে, গতকাল অবরোধ চলাকালীন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১৭ জন পুলিশ সদস্য কমবেশি আহত হয়েছেন।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাত গাড়িতে আগুন

বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে কদম ফোয়ারার সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে বাসের আগুন নেভান। বিএনপির অভিযোগ, বাসটির চালকও এই আগুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এ ছাড়া সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদম ফোয়ারা এলাকায় ইলিশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অবরোধ চলাকালে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর পল্টন, বনানী, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল ও মিরপুর এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের টহলদলসহ বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। রাজধানীর প্রবেশমুখ, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

কিশোরগঞ্জে সংঘর্ষ, দুই মৃত্যু

জেলার কুলিয়ারচরে ছয়সুতি এলাকায় সকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার মাধবদী গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৩০) এবং বড় ছয়সুতির রিফাত ওরফে রিফাতুল্লাহ (২২)। নিহত রিফাত ছয়সুতি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহসভাপতি এবং বিল্লাল একই ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি বলছে, দুজনই গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় তারা আজ বুধবার জেলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করেছে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে ছয়সুতি ইউনিয়ন বিএনপি একটি মিছিল বের করে। ছয়সুতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষে কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ ১৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গোলাম মোস্তফাকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীসহ আরো অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলায় তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

কুলিয়ারচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুত্ফর রহমান সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানান, অবরোধকারীদের হামলায় ওসিসহ পুলিশের ১৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়া হয়েছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখনো গুনে দেখা হয়নি। হিসাব করার পর তথ্যটি জানানো যাবে।

জেলার ভৈরবে সকালে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কমলপুর এলাকায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।

পালানোর সময় যুবদল নেতার মৃত্যু

জেলার দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে সকালে পালানোর সময় এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম জিলু আহমদ ওরফে জিল্লুর রহমান (৪০)।

সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম মুমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে আমরা অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং করছিলাম। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে। তখন জিলু মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে গলির দিকে চলে যেতে চাইলে পুলিশের একটি ভ্যান তাঁকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে ওই অবস্থায় তারা থানায় নিয়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি, তিনি মারা গেছেন।’

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘ওখানে যুবদলের লোকজন, দুষ্কৃতকারীরা পিকেটিং করছিল। সে সময় দুজন মোটরসাইকেলে আসছিলেন। পুলিশের গাড়ি দেখে তাঁরা দ্রুত উল্টো দিকে ঘুরতে গিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান। পুলিশের গাড়ির সঙ্গে লাগেনি। লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আরেকজন চিকিৎসাধীন।’ পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় আহত হওয়ার বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ধরিও নাই, ছুঁইও নাই। লোকজনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। থানায় নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

কনস্টেবলের গুলিতে ওসি আহত

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে আহত হয়েছেন থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লালাবাজারের সাতমাইল নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে সকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওই এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ওসি শামসুদ্দোহা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতমাইল এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি সমর্থনকারীরা যানবাহন আটকে ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে তাঁদের ধাওয়া করে পুলিশ। এ সময় দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারীর শটগান থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বের হলে ওসি শামসুদ্দোহা আহত হন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে পুলিশসহ আহত ৪০

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় মহাসড়কে মিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ায় কাভার্ড ভ্যানে আগুন

জেলায় কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শটগানের গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়ার কয়েক জায়গায় এসব ঘটনা ঘটে।

শহরের উত্তরে মাটিডালী মোড় এবং দক্ষিণে লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাস মোড় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি যানবাহন লিচুতলা বাইপাস মোড়ে আটকা পড়ে। সেসব যানবাহন চলাচলের উদ্যোগ নিতে সকাল ১০টার দিকে সেখানে পুলিশ পৌঁছে। অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তাঁদের হটিয়ে দিতে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। লিচুতলা এলাকায় অবস্থান নেওয়া যুবদল নেতা আহসান হাবিব মমি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ আকস্মিক গুলি ছুড়লে যুবদলের চার কর্মী আহত হন।

এ ছাড়া দুপুর ১২টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বনানীর দিকে যান। তাঁরা লিচুতলা বাইপাস মোড়ে পৌঁছলে অবরোধকারীরা তাঁদের ধাওয়া করেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে তাঁরা পালিয়ে গেলে অবরোধকারীরা মোটরসাইকেল তিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় অবরোধকারীদের পুলিশ ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপুর ২টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়।

চট্টগ্রামে দুই বাসে অগ্নিসংযোগ

নগরে দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় নগরের ইপিজেড থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। যাত্রী ছদ্মবেশে গাড়িতে উঠে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান অবরোধকারীরা। এর আগে রাত ৩টার দিকে অক্সিজেন ট্যানারি বটতল এলাকায় রাস্তার পাশে রাখা একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। নগরের সিটি গেট এলাকা থেকে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

কুমিল্লায় সংঘর্ষ, গুলি, আহত ২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার ঝাগরজুলি এলাকায় সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877