রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
‘দিনের পর দিন অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না’ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে : চিফ প্রসিকিউটর সাদপন্থী জিয়া বিন কাসিম গ্রেফতার গণহত্যার বিচার করাই আমার প্রধান দায়িত্ব: আসিফ নজরুল সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ৬ ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের ইতিহাস গড়লো নাসা, সূর্যের কাছাকাছি মহাকাশযান এক দিনের ব্যবধানে সিলেটে ‘ভারতীয় খা‌সিয়াদের গু‌লিতে’ আরেকজন নিহত
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহ ঐতিহাসিক : মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহ ঐতিহাসিক : মির্জা ফখরুল

স্বদেশ ডেস্ক:


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মনে হয় গণতন্ত্রের জন্যে নারীরা বের হয়ে এসেছে। যখন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন চলছে, তখন এই নারীদের বের হয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়া নিঃসন্দেহ ঐতিহাসিক।’

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবি এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

সমাবেশে আসা নারীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা এই সরকারকে কি ক্ষমতায় দেখতে চান?’ তার প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত নারীর বলে, ‘না।’ পরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার কাউকে ছেড়ে দেয়নি। কয়েক দিন আগে আমাদের এক নেত্রীকে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘দেশের সকল দল যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বলছে, তখন এই সরকার বলছে, না। তারা বলছে, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। তারা তো গায়ের জোরে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। ১৫ বছর ধরে সংবিধান কেটে-ছেড়ে শেষ করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার পরিবার তার চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। আমরা আশা করি, তার পরিবারের আবেদনের পর বিদেশে চিকিৎসা নিতে সরকার ব্যবস্থা করবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকের নারী সমাজ এই সরকারের বিরুদ্ধে নেমে এসেছে। তারাই মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনা পেয়েছিলেন। তাদের স্বামী ও সন্তানদের যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন করার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেখা গেল এই নারীদেরকে হত্যা, ধর্ষণ করা হয়। কারা করছে? সেই বাকশাল আর রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা। অথচ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে নারীদের পুলিশে চাকরি দেয়ার ব্যাবস্থা করেছিলেন, নারীদের অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী করতে কাজ করে গেছেন।’

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877