স্বদেশ ডেস্ক:
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার মেয়রের পক্ষে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন সিলেট কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের দুটি নম্বর দিয়ে মেয়রের পক্ষে জিডি করা হয়েছে। পুলিশ নম্বর দুটি ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে বিষয়টির তদন্ত করছে।
জিডিতে বলা হয়, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে সকাল ১০টার দিকে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের দুটি নম্বর থেকে পরপর বেশ কয়েকটি কল আসে। প্রথম কলটি ধরেন মেয়রের সঙ্গে থাকা একজন ব্যক্তিগত সহকারী। ফোন ধরামাত্র অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেওয়া হয়। পরে আরও কয়েকবার ফোন করে এভাবে গালাগালি করা হয়। চতুর্থ দফায় মেয়র নিজেই ফোন ধরেন। তখন ওপাশ থেকে ‘তোর চেয়ার কেড়ে নেব’ বলে গালমন্দ করা হয়। পরে আরও কয়েকবার ফোন করলে মেয়র ফোন ধরেননি। এর প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর বাংলালিংক নম্বর থেকে ফোন করে ‘তোকে শেষ করে দেব’ বলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
দুটি নম্বর থেকে পরপর আটবার ফোন করে এ ধরনের হুমকি দেওয়ায় মেয়রের স্বাভাবিক কাজকর্ম ও চলাফেরায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় জিডি করা হয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মেয়র জানান, ওই সময় তিনি সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পাশে একটি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জায়গা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এ কাজ অনির্ধারিত ছিল। মুঠোফোনে কলদাতার এ কাজে হুমকি দেওয়ার কথা নয়। পরপর দুটি নম্বর দিয়ে ফোন করে হুমকি দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতেই মেয়রের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘হুমকিদাতা যে ভাষায় কথা বলেছে, তাতে তাকে কোনো সিলেটি বলে মনে হয়নি। অশ্রাব্য গালাগালির মধ্যে ঘুরেফিরে “চেয়ার কেড়ে নেওয়া”, “শেষ করে দেওয়া”- এ রকম কথা বলে আমার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে কোনো চক্র কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এসব হুমকি-ধমকিতে আমি বিচলিত নই। ওই ব্যক্তি যখন আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করছিল, তখন আমিও তাকে পাল্টা গালি দিয়ে বলেছি, আমাকে শেষ করবে? বল কোথায় আসব? এরপর আর ফোন আসেনি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালে প্রথম সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।