স্বদেশ ডেস্ক:
রাশিয়ার পাঠানো চন্দ্রযান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদেই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। ৪৭ বছর পর পাঠানো লুনা-২৫ নামের মহাকাশযানটি চাঁদে বিধ্বস্ত হওয়ায় পর রাশিয়ার মহাকাশ শক্তি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
গত রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কক্ষপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং এরপরেই বিধ্বস্ত হয়। রসকসমস গত শনিবার সকালে জানায়, গ্রিনিচ মান সময় ১১টা ৫৭ মিনিটে লুনা-২৫ চন্দ্রযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, মিখাইল মারোভ নামে ওই বিজ্ঞানীর বয়স ৯০ বছর। চন্দ্রাভিযান ব্যর্থ হওয়ার পরেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিউজ চ্যানেল আরবিসি ও মস্কোভস্কি কমসমোলেতস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চন্দ্রাভিযান ব্যর্থ তার জন্য বিপর্যয়কর ছিল এতে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে।
মস্কোর ক্রেমলিনের কাছে সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে মিখাইল সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমি এখন পর্যবেক্ষণের আওতায় আছি। কেন আমি চিন্তিত হবো না- এটা আমার জীবনের বিশাল ব্যাপার।’
এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নে মহাকাশ অভিযানে কাজ করেছিলেন এ বিজ্ঞানী। লুনা-২৫ মিশন ছিল তার জীবনের চূড়ান্ত কাজ।
এই চন্দ্রযান বিধ্বস্ত হওয়া রাশিয়ার রসকসমস-এর জন্য একটি বিশাল ক্ষতি। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটির অবনমন হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বাজেটের একটি বড় অংশ সামরিক খাতে ব্যয় করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানের ব্যর্থতা থেকে রাশিয়ার মহাকাশ শক্তি যে ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় তা পরিষ্কার হয়ে উঠছে। এক সময়ে মহাকাশ অভিযানে সোভিয়েত রাশিয়ার বিশাল ভূমিকা ছিল কিন্তু এখন তা পতনের পথে।