স্বদেশ ডেস্ক:
তার সামনে ‘নতজানু’ হয় হাজার হাজার ভক্ত। রুপালি পর্দায় সব অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলেন তিনি। অথচ ‘থালাইভা’ রজনীকান্তকেই যোগী আদিত্যনাথের পায়ে লুটিয়ে পড়তে দেখে হতাশ হয়ে পড়েন ভক্তদের অনেকে। সম্প্রতি জেলর ছবির প্রচারে উত্তর প্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার। সেখানেই বয়সে ছোট উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দেন রজনীকান্ত। যা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি নেটিজেনদের একটা বড় অংশ।
মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে- গাড়ি থেকে নেমে যোগী আদিত্যনাথকে নমস্কার করে অভিবাদন জানানোর পর সোজা তার পা স্পর্শ করেন রজনীকান্ত। তাকে একটি ফুলের তোড়াও দেন এবং এরপর দুজনেই ফটোগ্রাফারদের জন্য হাসিমুখে পোজ দেন।
এই ভিডিও দেখে এক নেটিজেন লেখেন, ‘একজন ৭২ বছর বয়সী মানুষ ৫১ বছর বয়সীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন, ভাবতে পারেন? কী অধঃপতন।’ অনেকেই খোঁটা দিয়ে লেখেন, ‘বিজেপি তোষণের জলজ্ব্যান্ত নির্দশন এটি’।
কটূক্তি ও সমালোচনায় বিদ্ধ ৭২ বছরের তারকা অবশেষে মুখ খুললেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দেয়ার ঘটনায়। রজনীর সাফ কথা, যোগী ও সন্ন্যাসীদের পায়ে হাত দেয়াটাই তার অভ্যাস। তিনি বলেন, ‘সন্ন্যাসী হোক বা যোগী, তাদের পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নেয়াটা আমার অভ্যাস, তারা বয়সে আমার চেয়ে ছোট হলেও এতে আমার ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি সেটাই করেছি’।
উত্তর প্রদেশ সফরে রাজ্যে উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আদিত্যনাথের পা-ছোঁয়ার ঘটনায় সাফাই দেয়ার পাশাপাশি দর্শকদের ধন্যবাদও জানান অভিনেতা। স্বাধীনতা দিবসের আগেই মুক্তি পেয়েছিল রজনীকান্তের সিনেমা ‘জেলর’। বিশ্বজুড়ে এই ছবি ইতোমধ্যেই ৫০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে। ‘জেলর’ চার্টবাস্টার গান কাভালা-র তালে তামান্নার সাথে নাচছে গোটা দেশ। তার ছবি নিয়ে দর্শকদের মধ্যেকার এই উন্মাদনাই রজনীর এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।
‘জেলর’-এর গ্র্যান্ড সাকসেস নিয়ে কথা বলেলও রাজনীতি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেননি রজনীকান্ত। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কি ময়দানে নামবেন তিনি? সরাসরি প্রশ্ন এড়িয়ে যান তারকা। ২০২১ সালে তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা করেছিলেন রজনীকান্ত। কিন্তু মাস কয়েকের মধ্যেই পিছু হটেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে নিজের রাজনৈতিক দল রজনী মাক্কাল মন্দ্রম তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন থালাইভা, একইসাথে ঘোষণা করেছিলেন আর কোনোদিন সক্রিয় রাজনীতিতে পা দেবেন না তিনি।