স্বদেশ ডেস্ক:
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানীকে। তাদের পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কে এই জয়
আল নাহিয়ান খান জয় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের ঠাকুরমল্লিক গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলী খানের ছেলে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবার হাত ধরে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন।
বরিশাল জেলা স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় জয়ের। উপজেলা ছাত্রলীগেও সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। এসএসসি পাশ করে ঢাকা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই এই কলেজে ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে যায়।
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ সেশনে আইন বিভাগে ভর্তি হন জয়। বর্তমানে তিনি অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পর পরই তার ডাক আসে কেন্দ্রীয় কমিটিতে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান জয়ের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বাবা আব্দুল আলীম খানের হাতে উপজেলা ছাত্রলীগের পথচলা। এর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
কে এই লেখক ভট্টাচার্য
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া লেখক ভট্টাচার্যের বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। এই কমিটির ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগে ভর্তি হন তিনি। বর্তমানে তিনি এই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করছেন।
জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র লেখক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তা আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে পালন করার চেষ্টা করবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশানুযায়ী কাজ করে যাব।’
শোভন-রাব্বানীর কমিটি গঠিত হওয়ার ১০ মাস পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৩০১ জন বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।