শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

ইউক্রেনের খাদ্যশস্য আমদানিতে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান ইইউ’র

ইউক্রেনের খাদ্যশস্য আমদানিতে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান ইইউ’র

স্বদেশ ডেস্ক:

ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় কমিশন।

দেশ দু’টি বলেছে যে তাদের কৃষি খাতকে রক্ষা করার জন্য সস্তা শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন ছিল।

এই নিষেধাজ্ঞা শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য, চিনি, ফল, শাকসবজি এবং গোশতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং জুনের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

কমিশন বলেছে, কোন একটি দেশ আলাদাভাবে বাণিজ্য নীতি তৈরি করতে পারে না।

যদিও কমিশন বলেছে, একতরফা পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না, তবে তারা পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

রোববার এক বিবৃতিতে কমিশনের মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই ধরনের চ্যালেঞ্জিং সময়ে ইইউ’র সমন্বিত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সোমবার জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ওই দুটি দেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আইনি ভিত্তি বোঝার চেষ্টা করছে।

বেশিরভাগ ইউক্রেনীয় শস্য কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে রফতানি করা হয়। কিন্তু গত বছর রাশিয়া হামলা চালানোর পর রফতানির এ রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রচুর পরিমাণে শস্য মধ্য ইউরোপের বাইরে যেতে পারে না।

পরে জাতিসঙ্ঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই চুক্তিতে ইউক্রেনকে সমুদ্রপথে রফতানি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তবে ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার অতিরিক্ত তদারকির কারণে রফতানি প্রক্রিয়াটি গতিশীলতা হারিয়েছে।

শনিবার পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি এই আমদানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। দেশ দু’টির স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

কৃষকরা বলেছে যে আমদানির কারণে তাদের বাজার সস্তা ইউক্রেনীয় শস্যে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা নিজস্ব উৎপাদিত শস্য বিক্রি করতে পারছে না।

রোববার পোল্যান্ডের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং টেকনোলজি মন্ত্রী ওয়াল্ডেমার বুডা স্পষ্ট করে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাটি ট্রানজিট পণ্যের পাশাপাশি পোল্যান্ডে আসা পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

তিনি পোল্যান্ডের মধ্য দিয়ে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে একটি স্কিমের আওতায় এক্সপোর্ট পাস চালু করতে ইউক্রেনের সাথে আলোচনার আহ্বান জানান। যেন ইউক্রেনের পণ্যগুলো স্থানীয় বাজারে ঢুকতে না পারে।

ইউক্রেন বলছে, এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির পরিপন্থী।

ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা পোল্যান্ডের কৃষি খাতের পরিস্থিতির প্রতি সহানুভূতিশীল এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সময় তারা পাশে ছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো ইতিবাচক সমাধান আনতে গেলে একতরফা কঠোর পদক্ষেপ কাজ করবে না।’

পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের মন্ত্রীরা সোমবার পোল্যান্ডে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বসতে পারেন।

সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877