স্বদেশ ডেস্ক:
মোদিদের নিয়ে মন্তব্যের জেরে দুই বছরের সাজা, পরে সংসদ সদস্য পদ খারিজ। এরপর পেলেন বাংলো ছাড়ার নোটিশ। মঙ্গলবার সেই নোটিশের জবাব দিয়েছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে রাহুল লেখেন, ‘চারবারের নির্বাচিত লোকসভার সদস্য হিসেবে এখানে কাটানো ভালো সময়ের স্মৃতির জন্য আমি জনমতের কাছে ঋণী। আমার অধিকারের প্রতি পক্ষপাত না করে, আমি অবশ্যই আপনার চিঠিতে থাকা বিষয়গুলো মেনে চলব।’
দিল্লির ১২, তুঘলক লেনের বাংলোর বাসিন্দা রাহুল গান্ধী। এখানে তিনি ২০০৫ সাল থেকে আছেন। সোমবার সেটি ছাড়ার নোটিশ পান তিনি।
২০১৯ সালে ‘মোদি’ পদবী নিয়ে একটি মন্তব্যের জেরে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা হয়। সেই মামলায় সদ্য মোদিগড় গুজরাটের সুরাট কোর্ট রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাবাস ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপর সেই দুই বছরের সাজার জেরে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয় রাহুলের।
উল্লেখ্য, সাংবিধানিক নিয়মে দুই বছর বা তার বেশি কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কারাবাসের সাজা পেলে তার পদ খারিজ হয়। রাহুলের আগে আজম খান থেকে শুরু করে কুলদীপ সেনগারের মতো নেতাদের পদ খারিজ হয়েছে।
রাহুল গান্ধী আপাতত এক মাসের জামিনে রয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যে মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেই মন্তব্য নিয়ে তিনি ক্ষমা চাইবেন না।
এদিকে, রাহুলকে ঘিরে যদি কংগ্রেস পরবর্তী কোনো কৌশল নেয় তবে তা হবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতোমধ্যেই কংগ্রেস ‘সংকল্প সত্যাগ্রহ’ শুরু করেছে। সেখানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কার্যত নিজের বক্তব্যে ঝড় তুলেছেন। মঞ্চ থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক শক্তিশেল তাক করেছেন তিনি। এরপরই আসে রাহুলের কাছে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস