স্বদেশ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা-নির্যাতনের মাধ্যমে এ সরকার গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বন্ধ করতে চেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে চলে গিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি গণতন্ত্রের মুক্তি চাই, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই ও দেশনেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই তবে আমাদেরকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ত্যাগ স্বীকার করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার আজ অন্যভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছে। সরকার দেশনেত্রীকে জেলে রেখে অঘোষিত বাকশাল কায়েম করেছে।
তিনি বলেন, এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রেখে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা যখন আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি তখন সরকার ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলেছে। জনগণ এ নির্বাচনে ভোট দেয়নি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান লন্ডন থেকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জনগণ আমাদের সাথে আছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্র মুক্তি হবে না তাই আসুন আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনি।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমি এখন কোর্ট থেকে এসেছি। আমাকে সকালে জামিন দেয়ার কথা ছিল কিন্তু তারা শুধু শুধু দুপুর পর্যন্ত আমাকে বসিয়ে রেখেছে। আমি দেখেছি গায়েবি মামলায় জামিন না দিয়ে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কোর্টে আটকে রাখা হয়েছে। তারপরও আজকে দেখুন এখানে লাখ লাখ জিয়াপ্রেমিক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন কবে শুরু হবে? আমি বিশ্বাস করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এই আন্দোলন থামিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার ২৯ তারিখ রাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই এই সরকারকে আমাদের মানার দরকার নেই।
তিনি বলেন, এই সরকারের পতন না হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। তাই আসুন আমরা সরকার পতন আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ও দেশনেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনি।
বিএনপি’র ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিটি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।