স্বদেশ ডেস্ক: সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে আগেই। তার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বার বার অভিযোগ জানিয়ে আসছে ভারত। কিন্তু এরপরেও দমতে নারাজ দাউদ ইব্রাহিম। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শেয়ার বাজারে টাকা খাটাতে শুরু করেছেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত এই ডন।
মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার ও জাল নোটের মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় হচ্ছে সেই অর্থ নাকি এখন পাকিস্তানের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করছেন দাউদ। এভাবেই নাকি কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
সম্প্রতি লন্ডনে গ্রেফতার হযেেছন দাউদের ঘনিষ্ঠ জাবির মোতি। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাকে জেরা করেই দাউদ সম্পর্কে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তারা জানতে পেরেছেন, পাঁচটি সংস্থার মাধ্যমে প্রথমে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে টাকা খাটাত দাউদ ইব্রাহিম ও জাবির মোতি। এরপর করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সঙ্গে মিশে গেলে, সেখানেও টাকা খাটাতে শুরু করে ডি-কোম্পানি।
এছাডা হাবিব মেট্রোপলিটন ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মতো একাধিক সংস্থাতেও বিনিয়োগ করে এরা। ওই ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার পদে কাজ করতেন দাউদের মেয়ে মেহেরিন ইব্রাহিমের শ্বশুর তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদ। তিনিই নাকি ব্যাংকের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দাউদের পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর থেকেই সেখানে টাকা খাটাতে শুরু করে ভারতের মোস্ট ওযান্টেড এই ক্রিমিনাল। ২০১৭ সালে হাবিব ব্যাংকের বিরুদ্ধেই জঙ্গি মদতে অর্থ সাহায্য করার অভিযোগ এনেছিল মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা।