স্বদেশ ডেস্ক;
পাকিস্তানে অতিরিক্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যার পানি দেশের বহু এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং তিন কোটির বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাক সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
ফসল চাষের জন্য সেচ কাজের পাশাপাশি পাকিস্তানের লেক ও জলাধারগুলো ভর্তি করার জন্য বৃষ্টির পানি অত্যন্ত জরুরি হলেও কখনো কখনো অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে এই পানি আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ হয়ে দেখা যায়।
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান শুক্রবার দেশে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়ে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা এনডিএমএ জানিয়েছে, গত জুন মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৪ জন।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছরের বন্যায় পাকিস্তানের এক পঞ্চমাংশের বেশি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এর আগে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল ২০১০ সালে। সে বছর দেশটিতে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গতকাল (শুক্রবার) এক বিবৃতিতে বলেছেন, বন্যায় প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলেছে, এবারের বন্যায় সারাদেশে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং অপর প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।