রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

গণতন্ত্রের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না : ওবায়দুল কাদের

গণতন্ত্রের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সব সময় একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। আমরা প্রত্যাশা করি, সকল দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারো ষড়যন্ত্রের মুখে থেমে থাকবে না, অতীতেও থাকেনি, আগামীতেও থাকবে না– গণতন্ত্রের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।’

ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগ সব সময় সংবিধান, আইন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে রাজনীতি করে আসছে। সংবিধান অনুসারে এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপিসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘ডিনায়াল সিনড্রোম’-এ ভুগছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনোকিছুর প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। বরাবরই তারা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত্রের পথ বেছে নেয়। তারা সব সময় নির্বাচন ছাড়া হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালায়।

তিনি বলেন, দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে হত্যা করে কোনো প্রকার নির্বাচন ছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সব সময় অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে ঐতিহ্যগতভাবে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং বার বার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিরোধের মুখে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংসের দায়ও বিএনপির। বিএনপি তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করেছিল।

তিনি বলেন, দলীয় রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদটি পর্যন্ত হাইজ্যাক করেছিল বিএনপি। বিএনপি তাদের শাসনামলে দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ও অসংবিধানিক বলে চূড়ান্ত রায় প্রদান করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নামক দলটি কখনই গণতন্ত্র চর্চা করে না এবং দল পরিচালনায়ও তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না। এমনকি দুর্নীতিবাজ নেতৃবৃন্দকে রাজনৈতিক বৈধতা দিতে গঠনতন্ত্র পর্যন্ত সংশোধন করেছে বিএনপি। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত হয় কেবল তারাই বলতে পারেন– ‘নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না।’

সূত্র : বাসস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877