শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন

অপেক্ষার যেন শেষ নেই যাত্রীদের

অপেক্ষার যেন শেষ নেই যাত্রীদের

স্বদেশ ডেস্ক:

অনেকে আছেন কাজের ব্যস্ততার কারণে শুধু ঈদ এলেই বাড়ি যান। তাই আনন্দটাও থাকে বাঁধভাঙ্গা। স্বজনদের ও চিরচেনা পরিবেশের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয় এই উৎসবেই। আবার কেউ কেউ নিয়মিত বাড়ির সাথে যোগাযোগ রাখেন, আসা-যাওয়াও হয় রুটিন করেই। তবে ঈদ যাত্রা আলাদা। তাই ঘরে ফেরার আয়োজনটাও হয় ভিন্ন। সেই আয়োজনটাই চোখে পড়লো শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের স্রোতে। যেখানে আনন্দের চেয়ে বিড়ম্বনাই বেশি।

নির্দিষ্ট সময়ে কোনো ট্রেন নেই, অপেক্ষার যেন শেষ নেই যাত্রীদের। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেশি। শুধু ধূমকেতু নয়, সব ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ঘণ্টা দু’এক দেরি করে ছাড়ছে।

এদিকে, ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে এসে ট্রেন ছাড়ার দেরি বেড়েছে। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় সকাল ৬টা। কিন্তু ট্রেনটি সকাল ১১টার পর এসে কমলাপুর এসে পৌঁছাবে। কমলাপুরে আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনীয়তা সেরে দুপুর ১২টার আগে ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারছে না। ফলে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার অপেক্ষার পালা যাত্রীদের।

কমলাপুর রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন সাইফুল ইসলাম। যাবেন সিরাজগঞ্জ। কিন্তু ট্রেন দেরি করায় বিরক্ত।

তিনি বলেন, দেরির তো একটা মাত্রা আছে। একটা ট্রেন যদি ৬ ঘণ্টা দেরি করে, তাহলে কী বলার আছে!

চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সুমাইয়া শিকদার। স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। সকাল ৮টায় ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনের অনেক দেরি।

তিনি বলেন, ট্রেনের দেরি কমন বিষয়। সব ঈদেই ট্রেন দেরি করে। তারপরও বাড়ি গিয়ে পৌঁছাতে পারলেই কোনো দুঃখ নেই।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার যাত্রীদের চাপ বেশি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সবাই বাড়ি ফিরতে চায়।

তিনি বলেন, ট্রেনের শিডিউল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877