স্বদেশ ডেস্ক: ডেঙ্গু সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে শিল্পীদের অংশগ্রহণের একটি ভিডিও এখন ফেসবুক দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যেখানে দেখা যায়, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম, চলচ্চিত্র প্রযোজক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিল্পীরা মশা মারার ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছেন এবং ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করছেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত শুক্রবার এই কর্মসূচিতে অংশ নেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের তারকারা। শিল্পীদের অংশগ্রহণের ভিডিও ঘিরে ফেসবুক দুনিয়ার চলছে নানা সমালোচনা। এরইমধ্যে এই সব ট্রল আর সমালোচনার জবাব দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছেন শিল্পীরা।
ওই কর্মসূচি প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন-
‘চলচ্চিত্র শিল্পীদের ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম এবং একটি বিশেষ মহলের নিরুৎসাহ :
শিল্পীরা আমাদের সমাজের দর্পণের ন্যায়। সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন তারা তুলে ধরেন, তেমনি সমস্যার সমাধানেও তারা তাদের প্রতীকী কার্যক্রমের মাধ্যমে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেন। আমরা সবাই জানি যে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগ আমাদের দেশে বিশেষ করে ঢাকা শহরে মহামারি আকার ধারণ করেছে। আর এর সমাধানের জন্য যা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো, আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষের সচেতনতা এবং আমাদের বাসস্থানসহ পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা।
আর এই সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরও বেগবান করতেই চলচ্চিত্র শিল্পীরা তাদের নিজেদেরই কর্মস্থল এফডিসিসহ আরও কয়েকটি স্থানে ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম চালায়, মাইকের মাধ্যমে মিডিয়ায় নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেয়, চারপাশের আবর্জনা ঝাড়ু দেয় এবং ফগার মেশিন দিয়ে মশা দমন করেন। এটি ছিল একটি প্রতীকী কার্যক্রম এবং এর উদ্দেশ্য কেবল সাধারণ মানুষজনকে ডেঙ্গু হতে প্রতিকার পাবার জন্য সবাইকে সচেতন করা। আর চলচ্চিত্র শিল্পীদের মানুষ অনুসরণ করে হলেও তাদের এই প্রতীকী কার্যক্রম দেখে উৎসাহিত হয়ে মানুষ তার চারপাশ পরিষ্কার রাখবে, নিজে তো সচেতন হবেই আরও ১০ জনকে সচেতনতার পরামর্শ দেবে এটিই ছিল মূল উদ্দেশ্য।’
জায়েদ খান আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু কষ্টের বিষয় এই যে কিছু স্বার্থান্বেষী ও ঈর্ষান্বিত মহল এই শুভ কাজটির তিরষ্কার করছে ও নিরুৎসাহিত করছে। অথচ শিল্পীরা যে সকল নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো ওই স্বার্থান্বেষী মহলও কিন্তু পালন করছে। অথচ আপনারা জানেন ডেঙ্গু মশা নিধন কিন্তু শিল্পীদের কাজ নয়। তারা নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে যেটুকু পেরেছেন অর্থাৎ জাতির সচেতনতা সেটি তারা শতভাগ করেছেন। আসলে এই স্বার্থান্বেষী মহলের উদ্দেশ্য কি আমাদের জানা নেই। তবে তাদের এমন নিরুৎসাহ এটিই প্রমাণ করে তারা দেশ ও জাতির মঙ্গল চায় না। চায় না ডেঙ্গু সম্পর্কে সকলের সচেতনতা। চায় না একটি ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে।’