স্বদেশ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন। এর জন্য প্রয়োজনে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ জোন করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য আমাদের বন্ধু দেশগুলো থেকে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের জায়গা। ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি আমরা বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনগুলোকে আপগ্রেড ও সহজ করেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ সংসদের আইন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত।’
নানা সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের সড়ক, রেলপথ ও নৌ যোগাযোগের উন্নয়ন করছি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আমরা সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। রপ্তানির পরিমাণ ২০১৬-১৭ সালের ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০১২-২০২২ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইউএস কোম্পানিগুলো এই সুবিধা গ্রহণ করবে এবং শক্তি ও জ্বালানি, আইসিটি, অবকাঠামো, হালকা প্রকৌশল পণ্য, মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক পণ্য, অটোমোবাইল, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক ইত্যাদির মতো সম্ভাব্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করবে।’