স্বদেশ ডেস্ক
শৈশবের শিক্ষিকাকে ছুরি দিয়ে ১০১ কোপে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রের দাবি, ৩০ বছর আগে ভরা ক্লাসে সহপাঠীদের সামনে বিনা দোষে তাকে শাসন করেছিলেন ওই শিক্ষিকা।
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের এক আদালত এমনই স্বীকারোক্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন গুন্টার উভেন্টস নামে এক ব্যক্তিকে।
দুই বছর আগে ২০২০ সালে পুলিশের হাতে আটক হন ওই ব্যক্তি। তারও ১৬ মাস আগে অ্যান্টওয়ার্পে মারিয়া ভেরিল্যান্ডেন (৫৯) নামে ওই শিক্ষিকার নিজ বাড়িতে গিয়ে তাকে হত্যা করেন তিনি।
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষিকার শরীরে মোট ১০১ বার ছুরির কোপ বসান হত্যাকারী। কিন্তু তদন্তে নেমে অপরাধীকে শনাক্ত করতে বেগ পায় পুলিশ। শিক্ষিকার পাশেই পড়েছিল তার মানিব্যাগ। সেখানে নগদ টাকা ছিল। বাড়ির আসবাবপত্রও ছিল যথাস্থানেই। তা হলে খুনের কারণ কী?
ঘটনার ১৬ মাস পর ২০২০ সালের নভেম্বরে এক বন্ধুর কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন গুন্টার। সেই বন্ধুই পুলিশকে জানানোর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তারা। গত বৃহস্পতিবার আদালত খুনের দায়ে গুন্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
গুন্টার উভেন্টসের সাথে যখন শিক্ষিকা আচরণ করেন, তখন গুন্টারের বয়স মাত্র সাত। ৩০ বছর পর তার এরূপ প্রতিশোধ নির্বাক করে ফেলেছে সবাইকে।
সূত্র : আনন্দ বাজার