স্বদেশ ডেস্ক:
চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন সংস্থার চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। আজ রোববার সকালে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনে অপসারণের আদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেছেন তিনি।
লিখিত আবেদনে শরীফ উদ্দিন বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি দুর্নীতির বিভিন্ন মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছেন সুনামের সঙ্গে। বিশেষ করে কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহণের দুর্নীতি, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের দুর্নীতি, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দুর্নীতি, ময়মনসিংহ ভূমি অফিসের দুর্নীতিসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজদের চিত্র কর্মরত অবস্থায় তুলে ধরেছিলেন তিনি, যাতে দেশ দুর্নীতিমুক্ত থাকে। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি নিজে ও তার পরিবার নানা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তারপরও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে আপস করেননি।
শরীফ উদ্দিন আরও বলেন, তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করার আগে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি। এটি সংবিধান পরিপন্থী।
এ অবস্থায় দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনে অপসারণের আদেশ পুনর্নিরীক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যাহার করে চাকরিতে ধারাবাহিকতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ পুনর্বহালের আরজি জানিয়েছেন শরীফ উদ্দিন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয় দুদক। আদেশের দিন থেকেই তার চাকরিচ্যুতি কার্যকর বলে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়।
ওই আদেশে বলা হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মো. শরীফ উদ্দিন (উপসহকারী পরিচালক) দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যক্রম, পটুয়াখালীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’
শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির ঘটনায় দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানান কর্মকর্তারা। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, শরীফ উদ্দিনকে গত বছরের ১৬ জুন চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। তিনি সবশেষ পটুয়াখালীতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।