স্পোর্টস ডেস্ক:
বোলিং-ব্যাটিং দুই ডিপার্টমেন্টের অসাধারণ পারফরমেন্সে ৮৮ রানে জিতে আফগানিস্তানকে বিপক্ষে সিরিজি জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ৩০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২১৮ রানেই থেমে যায় আফগানদের ইনিংস। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজি জিতে নিল তামিমের দল।
সিরিজে ফিরতে আফগানিস্তানকে রান তাড়া করতে হতো ৩০০’র বেশি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সফরকারীরা গুটিয়ে গিয়েছে ২১৮ রানে। সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে নাজিব উল্লাহ জাদরানের ব্যাট থেকে, রহমত শাহ করেন ৫২ রান।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
এদিন চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ও ব্যাটিং বিপর্যের পর ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস দেখেশুনে এগোতে থাকেন। তামিম ইকবালকে হারানোর পর জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার আভাস দেয় বাংলাদেশ। স্ট্রাইক রোটেট করে খেলায় ছিল দুজনের নজর। কিন্তু রশিদ খানের আঘাতে ভেঙে যায় ৫৩ বলে ৪৫ রানের জুটি। তার লেন্থ বল সাকিবের ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। ২ চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন সাকিব।
পরে লিটন-মুশফিকের ব্যাটে ভর করে বিশাল সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় তামিম ইকবালের দল। দারুণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে আসে ১২৬ বলে ১৩৬ রান। ১৬টি চার আর ২টি ছয়ে সাজানো ছিল লিটনের ইনিংস। পরে ফরিদ রহমানের স্লো বলে স্ট্রেট ডিপ স্কয়ার লেগে মুজিব উর রহমানের ক্যাচ হন তিনি। তাদের জুটি ছিল ২০২ রানের, যা তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। যদিও পরের বলেই বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। ফজল হক ফারুকির ক্যাচ হন তিনি, করেন ৮৬ রান। লিটনের পর সেঞ্চুরির পথে ছিলেন মুশফিকও। কিন্তু ১৪ রান বাকি থাকতেই তাকে থামতে হয়। ফরিদকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন থার্ডম্যান অঞ্চলে ফারুকির হাতে। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৯টি।