স্বদেশ ডেস্ক:
বরগুনার পাথরঘাটায় কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ৩০ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে ৩ জন শিশু রয়েছেন। গুরুতরদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে নিচ্ছেন।
পাথরঘাটা উপজেলায় অস্বাভাবিক হারে কুকুরের বংশ বিস্তার ও উৎপাত বৃদ্ধি পেলেও বন্ধ রয়েছে কুকুর নিধন অভিযান। কুকুরের উপদ্রবে আতঙ্কে আছেন শহর ও গ্রামের মানুষ। দিনের বেলা শহরের কুকুরের সংখ্যা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই বিভিন্ন মহল্লা থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় বেওয়ারিশ কুকুর। কোনো পথচারীকে একা পেলে তার উপর ধাওয়া করে কামড়ায়। এদের আক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছে না গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগীও। ফলে জনমনে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল।
আহত শিশু রিফাতের মা রুপা আক্তার জানান, গত রোববার দুপুরের দিকে চাচার ঘর থেকে বের হয়ে নিজের ঘরে আসার সময় এক পাগলা কুকুর তার ছেলে রিফাতের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তার ডান পা ও ডান চোখের ওপরে কামড় বসিয়ে দেয় কুকুরটি। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা নেই।
ভুক্তভোগী নাছিমা বেগম বলেন, ঘর বাইরে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ কুকুর এসে তার পায়ে কামড় দেয়। কুকুরটি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হাতেও কামড় দেয়। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল হাসান আমাদের সময়কে বলেন, গত দিন ধরে কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন। এর মধ্যে ৩ জন শিশু রয়েছেন। গুরুতর ৩ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে নিচ্ছেন। সবাইকে সতর্ক হয়ে চলাচল করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।