স্বদেশ ডেস্ক: লাগাতার শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সহপাঠীদের সঙ্গে মারামারি অভিযোগে কঠোর শাস্তি পেয়েছেন এক কলেজছাত্র। শাস্তিস্বরূপ, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের চুলের মুঠি ধরে ঘুরিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছে তার চুল। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে।
ভারতের গণমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুল কেটে নেওয়ার পর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রটি। এতেই স্কুলের বিরুদ্ধে এলাকায় অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলেরই এক শিক্ষক ছাত্রটির বাড়ি গিয়ে ফেসবুক পোস্ট তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তাতে আরও তীব্র হয়েছে অসন্তোষ।
ওই কলেজছাত্রের অভিযোগ, ‘এক বন্ধুর সঙ্গে সামান্য গণ্ডগোল হয়েছিল। এর পরই হেডস্যার স্কুলের মুঠি ধরে কিছুক্ষণ ঘোরান ও চুল বাজেভাবে কেটে দেন।’
ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ, কোনো অন্যায় করলে স্কুলের শিক্ষকরা শাস্তি দিতেই পারেন কিন্তু চুলটা এভাবে কাটার কোনো অধিকার নেই।
এদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার স্কুলে গিয়ে ওই ছাত্র ও অন্যান্য পুড়য়াদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান।
জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য শাখায় পড়ে একটি ছেলেকে ক্লাসের বেশিরভাগ ছেলে মিলেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ছেলেটির কাছে বিষয়টি শোনার পর অভিযুক্ত ছাত্রটিকে সাবধান করা হয়েছিল। এবারও তা করা হয়েছে। ছেলেটির রং করা চুল শিক্ষকদের পছন্দ হয়নি। তাই সেটি কেটে দেওয়াও হয়।’